দেনা পাওনা নিয়ে তর্কের জেরে ইজিবাইক চালককে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ এর সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানা এলাকায় ইজিবাইক চালককে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় অন্যতম প্রধান আসামি ও মূল পরিকল্পনাকারী শরিয়তপুরের ইমাম হোসেনের ছেলে আরিফ (২২), আবুল বেপারীর দুই ছেলে ছেলে পারভেজ বেপারী (২৬) এবং সজিব বেপারীকে রায়ণগঞ্জ সদর ও ঢাকার বনানী থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
র্যাব ৩ এর অধিনায়ক বলেন, অটোরিকশা চালক হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু মাদবর এর সঙ্গে গ্রেফতার আরিফের টাকার লেনদেন ছিল। তাদের মধ্যে দেনা পাওনা নিয়ে তর্ক বিতর্ক এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আরিফ হাবিবের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। গ্রেফতারকৃত আরিফ তার বন্ধু নাহিদ সরদার, পারভেজ বেপারী, সজিব বেপারীসহ তার আরও বেশ কয়েকজন সহযোগীর সঙ্গে এ ব্যাপারে গোপনে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আরিফ এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা একত্রিত হয়ে সুইচ গিয়ার, চাকু, চাপাতি সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সখিপুর থানাধীন কাচিকাটা ইউনিয়নের ৮৯ নং হাজিয়াবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অপেক্ষা করে। ভিকটিম হাবিব অটোরিক্সায় যাত্রী নিয়ে নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার বাজার থেকে সখিপুর থানার চর দুলার চর এলাকায় যাওয়ার পথে অটোরিকশা থামিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভিকটিমের উপর তারা হামলা চালায়। হামলার মধ্যে নাহিদ সরদার তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে ভিকটিম হাবিবুর রহমানের মাথায় সজোরে কোপ দেয়। তখন হাবিবুর রহমান মাথা সরিয়ে নিলে তার কাধে চাপাতির কোপ লাগে। পরবর্তীতে ধৃত পারভেজ ও সজিব সহ অন্যান্য সহযোগীরা ভিকটিমকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে এবং ধৃত আরিফ হাবুর পেটের মধ্যে সুইচ গিয়ার দিয়ে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। আঘাতের ফলে ভিকটিম হাবু গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়ে অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকে।
তিনি বলেন, ধৃত আসামিগণ সহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পালানোর সময় স্থানীয় জনতা নাহিদ সরদার কে আটক করে এবং এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে।