স্টাফ রিপোর্টার-
জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার চরসাতারিয়া এলাকার মৃত ঈমান আলীর ছেলে মো. বাবুল ওরফে হারুন। পুলিশের পোশাক ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন। সম্প্রতি পুলিশের পোশাক ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
পুলিশ বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে বাবুল ওরফে হারুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ১৬ জানুয়ারি ) দুপুরে রাজধানীর রমনায় নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত) আশরাফ হোসেন।
ডিসি আশরাফ বলেন, গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ডাক্তার দেখিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ট্রেন সম্পর্কে জানতে হারুন নামের পোশাক পরিহিত এক পুলিশ সদস্যর কাছে সহযোগিতা চান নরসিংদীর হেলেনা বেগম(৪০)। পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি সহযোগিতা করার পাশাপাশি হেলেনার মোবাইল নম্বর রেখে দেন। এমন কি পরের দিন আবারও ডাক্তার দেখাতে আসবেন কিনা? এই তথ্যও জেনে নেন। পরের দিন পুলিশ সদস্য হেলেনাকে ফোন করে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে আসার তথ্য নিশ্চিত হন। পরবর্তীতে ১৩ তারিখ হেলেনা ও তার বান্ধবী রিনা বেগম ডাক্তার দেখাতে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে আসেন। এই সময় হাসপাতালের সামনে এসে পুলিশ হারুনকে দেখতে পান।
পরবর্তীতে হারুন হাসপাতালের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে হেলেনাকে ডাক্তার দেখাতে সহযোগিতা করে। এই সময় রিনা ও পুলিশের পোশাক পরিহিত হারুন বাহিরে অপেক্ষা করে। এরমধ্যে রিনা হাতের ব্যাগ রেখে টয়লেটে যায়। ফিরে এসে দেখেন পোশাক পরিহিত ব্যক্তি হারুন নেই। রেখে যাওয়া ব্যাগে নগদ ২৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির করে হারুনকে না পেয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী হেলেনা।
তিনি আরও বলেন, ১৫ জানুয়ারি ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে রাজধানীর বিমানবন্দরের গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া পুলিশ পরিচয় দেওয়া হারুনকে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে ধানমন্ডি থানা পুলিশ জানতে পারে, হারুন নিজেকে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় এসআই হিসাবে কর্মরত থাকার পরিচয় দেয়। পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে হারুন, শিউলি বেগম (৩৮) নামের এক নারীর সাথে এক বছর ধরে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক করে প্রায় দুই মাস আগে বিবাহ করে। হারুন পুলিশ পরিচয় ও পোষাক পরিহিত অবস্থায় ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় আরও অনেক ধরনের অপরাধ করে আসছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, হারুনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সরকারী কর্মচারীপরিচয়ে প্রতারনার অভিযোগে তিনটি মামলা এবং বিভিন্ন অপরাধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।