স্টাফ রিপোর্টার-
দেশে যারাই নাশকতা, দুর্বৃত্তায়ন চালানোর চেষ্টা করছে তাদের শিগরিরি গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বিএনপি’র দেশ অচল করে দেয়ার ঘোষনা আমরা অতীতেও আমলে নিইনি, ভবিষ্যতেও এধরণের ঘোষণা আমলে নিবো না। কারণ অনেক ঘোষণাই আমরা অতীতে শুনেছি।যেসব ঘোষণা দেশবিরোধী, জনবিরোধী, সংবিধান বিরোধী তা জনগণ পছন্দ করে না। আর আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজই হচ্ছে যারা সংবিধান মানে না, নির্বাচন কমিশনের দিক-নির্দেশনা মানে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। ঢাকার চতুর্দিকে আমাদের নজরদারি আছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে(২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার এক বলেন তিনি।
সরকার বিরোধী বর্তমান আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে রেলে নাশকতা হয়েছে। বাস পোড়ানো হচ্ছে। রেল ও মেট্রোরেলে নিরাপত্তার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক সক্রিয়। সামনের দিনগুলোতে আরও বড় আন্দোলনের হুমকি আসছে। এসব ঘিরে বড় ধরণের নাশকতার আশঙ্কা করছেন কি-না? জানতে চাইলে ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এক সময় বাসে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও পুলিশের উপর হামলা করেছে।
আমরা সব সময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব কিছু করে থাকি। হামলাকারীদের অনেককেই আমরা গ্রেফতার করেছি। পাশাপাশি আমাদের ডিবি ও থানা পুলিশ ঢাকার সরকারি, বেসরকারি ও কেপিআইভুক্ত রেল ও মেট্রো রেলসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা দিচ্ছে, খেয়াল রাখছে। যাতে করে দুর্বৃত্তরা দুর্বৃত্তায়ন, নাশকতাকারীরা যাতে নাশকতা চালাতে না পারে।
নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে সেটা যাতে না হয় সেজন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমাদের সকল পুলিশ সদস্য যার যা দায়িত্ব তা পালন করে যাচ্ছি। আশঙ্কা নেই, কিন্তু আশঙ্কা ঘিরেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে করে কিছু না ঘটে।
হারুন বলেন, সাধারণ মানুষের ভোট দিতে তারা নিরুৎসাহিত করছে, তা জনগণ মানছে না। যে কারণে তাদের কর্মসূচিতে প্রভাব নেই। সড়কে ভিড় লেগে থাকছে। মানুষ রাস্তায় নামছে। আমি মনে করে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে আছে, রাস্তায় কাজ করছে, টহল পার্টি, চেকপোস্ট চলছে। ঢাকার চতুর্দিকে আমাদের নজরদারি আছে। গোয়েন্দা তৎপরতা রয়েছে। যারাই নাশকতা, দুর্বৃত্তায়ন চালাবে বা চালানোর চেষ্টা করছে, ভাড়াটিয়া ভাড়া করে কারা নাশকতার চেষ্টা করছে, তাদের অনেকের নাম পরিচয় আমরা জেনেছি। অনেককে গ্রেফতার করেছি। গতরাতেও আমরা অনেককে গ্রেফতার করেছি। আরও যাদের নাম আমরা জেনেছি তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এতো নিরাপত্তার মাঝেও তেজগাঁওয়ে যারা আগুন দিলো তাদের চিহ্নিত করে কেন গ্রেফতার করা যাচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অধিকাংশ ঘটনায় আপ্রাণ চেষ্টা করি সনাক্ত করার জন্য। আমরা বেশিরভাগ ঘটনায় শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। কিছু কিছু ঘটনায় আমরা নাম নাম্বার জেনেছি। দেড় মাস আগে ঘটনা জেনেছি। গতরাতে আমরা পিচ্চি মনিরকে গ্রেফতার করেছি। তার মানে হচ্ছে আমরা লেগে আছি বলেই গ্রেফতার করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমাদের ডিবির টিম কাজ করছে। যেকোনো সময় গ্রেফতার করা হবে।