স্টাফ রিপোর্টার-
রাজধানীর পুরান ঢাকার কদমতলী থানার শ্যামপুর পালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ ছাত্রদলের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণে বেশিরভাগ নাশকতার সঙ্গে তারা জড়িত। গাড়িতে আগুন দেওয়ার জন্য নিজেদের মোটরসাইকেলে করে পাম্প থেকে তেল সংগ্রহ করে পেট্রোল বোমা বানানো হত।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. নয়ন (২২) ও আল আমিন (২৩)। তারা দুজনেই ছাত্রদল কর্মী।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩টি ককটেল, ১৫টি পেট্রোল বোমা, গান পাউডার, কাচের গুড়াসহ ককটেল তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে র্যাব-১০ সিপিসি-১ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, গত ২৮ অক্টোবর নির্বাচন বানচলের উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবরোধের নামে রাজাধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাস, ট্রাক, সিএনজি, লেগুনা, এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিবহন ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাসে আগুন ও ভাংচুর করে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যদের হামলাসহ নারকীয় তান্ডবে পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা করে। এই ঘটনায় পরিকল্পনাকারীসহ জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই ছাত্রদল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, নয়ন ও আল আমিন উভয়ই ছাত্রদলের কর্মী। তারা স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দের নির্দেশে নাশকতার উদ্দেশ্যে পেট্রোল বোমা ও ককটেল তৈরি করে তাদের চাহিদামত বিভিন্ন সময়ে সরবরাহ করে আসছিল। আর এই সকল প্রেট্রোল বোমা তৈরি করতে তারা কৌশলি ছিলো। যেহেতু এখন খোলা বাজারে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ তাই তারা মোটরসাইকেলে করে পাম্প থেকে তেল সংগ্রহ করে সেগুলো দিয়ে পেট্রোল বোমা বানানো হত। এছাড়াও তাদের আরও বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছিলো।
গ্রেফতার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক আরও বলেন, দুই ছাত্রদল কর্মী সেলিম রেজা ও আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, ধোলাইপাড়, গোলাপবাদ, ডেমরা, দনিয়া ও কদমতলীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা করে আসছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত নয়নের বিরুদ্ধে রাজধানীর কদমতলী থানায় নাশকতা, চুরি ও মারামারির একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।