সাকিব আসলাম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে নৌকার নির্বাচন না করলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা মার্কার প্রার্থী বেনজির আহমেদের ভাগ্নে মাহফুজুল হক শাহিনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মাহফুযুল হক শাহিন, মামলা-হামলা সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন কাঁচি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সাবেক ইউপি সদস্য নাজমুল হাসান মুক্তার।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের গোমগ্রাম এলাকায় যাদবপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নাজমুল হাসান মুক্তারের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নাজমুল। এসময় কাঁচি মার্কার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ করেন তিনি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল হাসান মুক্তার বলেন, “আমি বাড়ি ছিলাম না। তখন বেনজির আহমেদের ভাগ্নে শাহিন ও তার সঙ্গে আরও ৪-৫ জন আমার বাড়ি গিয়ে আমার স্ত্রীকে হুমকি দেয়। সে আমার স্ত্রীকে বলে, আমি যদি নৌকার পক্ষে কাজ না করি। তাহলে আমাকে মামলা দেওয়া হবে ও আমার ওপর হামলা করে মেরে ফেলা হবে। ওই সময় গোমগ্রাম এলাকায় কাচি প্রতীকের পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলে তারা।”
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন বলেন, “এমপির ভাগ্নে মাহফুজ শাহিন মুক্তার মেম্বারের বাড়ি গিয়ে তাকে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে হুমকি দেয় ও কাঁচি প্রতীকের কর্মী হিসেবে কাজ করতে মানা করে। এই বিষয়ে থানায় জানিয়েছি।”
অভিযোগের বিষয়ে মাহফুজ শাহিন বলেন, “সে আমাদেরই ছিল। দুইদিন ধরে ফোন ধরছিল না। আমরা ওখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমার সঙ্গে এক ইউপি সদস্য ও আরও দুইজন ছিল। ভাবলাম, কি হইসে, অসুস্থও থাকতে পারে। পরে বাড়ির সামনে গেছি। তখন ভাবি টেনে বাড়ি নিয়ে গেছে। আমাদের অনেক আপ্যায়ন করেছে। মুক্তার আলীকে ফারুক মেম্বারও ফোন দিল। তার বাড়িতে বসে আমরা খাওয়া দাওয়া করলাম। পাশে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। আমাকে দাওয়াত দিল। মুক্তার আলীর স্ত্রী, ফারুক মেম্বারকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন কি হয়েছে।”
হামলা, মামলা ও হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে মাহফুযুল ইসলাম শাহিন বলেন, “অসম্ভব। তার ছেলে ছিল। সে জনসভা করবো কি না জানতে চাইলো। সে রাজনৈতিক কারণে হয়তো বলতে পারে। তার বাসায় খেজুর, আপেল, সেমাই খেয়েছি আমরা। ভাত খাওয়ার জন্য জোরাজোরি করেছিল। তবে সময় স্বল্পতায় খাইনি।”
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, “আমি শুনেছি। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হবে বিষয়টি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।”
বা বু ম/ এস আর