টাঙ্গাইল প্রতিনিধি-
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের আটটি আসনেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রয়েছেন। আর পাঁচটিতে নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘিরে এসব আসনে অশান্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী পরিবেশ। ইতিমধ্যেই প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও একাধিক প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে দুটি আসনে গতকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
যে পাঁচ আসনে পরিবেশ অশান্ত হচ্ছে তা হলো টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর), টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল), টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী), টাঙ্গাইল-৫ (টাঙ্গাইল সদর) ও টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর)। এর মধ্যে টাঙ্গাইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছোট মনির। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু। টাঙ্গাইল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের ডা. কামরুল ইসলাম খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা। টাঙ্গাইল-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ও মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশীদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। টাঙ্গাইল-৭ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু।
ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল-২ আসনে প্রতিপক্ষের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে নৌকার প্রার্থী ছোট মনির ও ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি শোকজ নোটিশ দিয়েছে।
টাঙ্গাইল-৭ আসনে নৌকায় ভোট না দিলে বিএনপির ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বারণ করায় মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু তাঁর ভোটারদের লাঠি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে বলায় তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
টাঙ্গাইল সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনের দুটি নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার রাতে টাঙ্গাইল-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানার দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও সমর্থকদের ওপর মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কায়ছারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে অবগত হওয়ামাত্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল-২ ও ৩ আসনে গতকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে অন্য আসনগুলোতেও মোতায়েন করা হবে।