সাকিব আসলাম
দলের কে কোথায় নমিশন পাবে, কে কোথায় কাজ করেছে এগুলো নিয়ে গতকাল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমার সাথে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ করেছেন, ওইটা একটু ইনডাইরেক্টলি পজিটিভ থিংকিং, এটা গ্রীন সিগনাল, আমাকে কাজ করার জন্য বললো, কিছু কৌশল বলে দিলো, এভাবে কাজ করতে হবে, এসব ব্যাপার , এটা তো মানসিক ভাবে ধরে নিলাম আমার ব্যাপারে বিবেচনা করছে দল। ব্যাপারটি এরকম।
এই জায়গায় তো অফিসিয়াল ডিক্লেয়ার দিচ্ছে, ভাবে বলে দেওয়া হচ্ছে এমন না। কিছু আছে না বলে দেওয়া হয়। সাভার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে কিন্ত দূর্বল ভাবা যাবে না। এখন থেকে কাজ করতে হবে। বড় বড় সমাবেশ করা যাবে না। ছোট ছোট করে উঠান বৈঠক, নারীদের জন্য আলাদা ভাবে। এধরনের কাজ গুলো বেশি বেশি করতে বলা হয়েছে। বেশ কিছু মতামত দিয়েছেন।
যেহেতু আমাকে বলেছে আমিও একটু ইন্সপ্রেশন পেলাম। ইউ আর দা ক্যান্ডিডেট এমন আর কি।
বক্তব্যটি ঢাকা ১৯ আসনের সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্য ডা.দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুর।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুকে ঘিরে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী নিয়ে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক আলাপচারিতাকে ‘সবুজ সংকেত’ হিসেবে ধরে নিয়ে তার সমর্থকরা এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি এখনো কোনো আসনে আনুষ্ঠানিক বা চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে এবং ভোটারদের কাছে ভোটের বার্তা পৌছানোর জন্য প্রস্তুত করতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিভিন্ন সারির নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এর অংশ হিসেবেই সালাউদ্দিন বাবুর সঙ্গেও তার আলাপ হয়েছে, যেখানে তাকে এলাকায় জনসংযোগ এবং ছোট পরিসরে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দলীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, সাভারে কোন প্রার্থীকে এখনো চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন বা গ্রীন সিগনাল দেওয়া হয়নি। সে বিষয়টি তার বক্তব্যে উঠে এসেছে। তবে তার সমর্থকের মধ্যে ব্যপক প্রচারনা লক্ষ্য করা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা জানান, এমন ভাবে প্রচার করা হচ্ছে যেন নমিশন পেয়েছেন। কিন্ত এটা কোন গ্রীন সিগনাল নয়। বরং দলকে সুসংহত বজায় রাখার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্ত সেটা কে নমিশন ভেবে প্রচার করে আসলে দলের জন্য হতাশার। কোন্দল তৈরি হবে। তাই এধরনের প্রচারণা বন্ধের জন্য দলের হাই কমান্ডের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান বিএনপি নেতারা।