ভোলার চরফ্যাসনে শশীভূষণ থানার চরকলমী ইউনিয়নের চরমায়া জামে মসজিদের ইমাম ও মোহাম্মদিয়া নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা নুর হোসাইনকে মারধরের ঘটনায় শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহতের ইমাম হাফেজ মাওলানা নুর হোসাইনের বাবা মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে রবিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
পুলিশ মামলার এজাহার ভুক্ত এক আসামী শাহে আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শশীভূষণ থানার এসআই কমলেশ দাস এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঐদিন বিকাল সাড়ে ৫ টায় চরকলমী ইউনিয়নের চরমায়া গ্রামে ইমামকে লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটে। আসামীরা হলেন, বাচ্ছু হাওলাদার, সাহে আলম,মোঃ হাফেজ, কামাল হোসেন ও সুজন।মামলার বিবরণ ও আহত ইমাম মাওলানা নুর হোসাইন জানান, তিনি চরমায়া গাজী বাড়ির দরজায় জামে মসজিদের ইমামতি করেন।
পাশাপাশি এলাকার মানুষের সহযোগীতায় তিনি ওই এলাকায় মোহাম্মদদিয়া তামিমুল কোরআন নামে একটি হাফেজি মাদ্রাসা গড়ে তুলেন। মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি তিনি ওই মাদ্রায় শিক্ষকতা করেন।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার সুবিধার্থে হাফেজ আল আমিন নামের এক ব্যাক্তিকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নেয়া হয়। ওই আল আমিন যোগদানের পর থেকে তাকে ওই মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। ঘটনারদিন তিনি মাদ্রাসার বাহিরে ছিলেন। এসময়ে সহকারী শিক্ষক আলামিনের ইন্দনে স্থানীয় যুবক হাফেজসহ আরো কয়েকজন মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের বের করে ওই মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। তিনি ফিরে এলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেন। এসময় ক্ষুব্ধ হাফেজও বাচ্চু হাওলাদারসহ আরো কয়েকজন মাদ্রাসা তাকে জোড়পুর্বক মোটরসাইকেলে তুলে কাশেম মাষ্টারের বাড়ির দরজার স্কুলের সামনে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
তাদের হামলায় গুরুতর আহত ইমাম মাওলানা নুর হোসাইনকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।তিনি চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মাওলানা হাফেজ নুর হোসাইন আরো অভিযোগ করেন, এঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও শশীভূষণ থানা পুলিশ মুল আসামীদের গ্রেফতার করেননি। মুল হোতারা মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি বাদসু বেপারী জানান,হাফেজ মাওলানা নুর হোসাইন দেড় বছর যাবত চরমায়া জামে মসজিদে ইমামতি করেন। পাশাশাশি স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি হাফেজি মাদ্রাসা গড়ে তুলেন। মসজিদে ইমামতির পাশপাশি তিনি ওই মাদ্রায় শিক্ষকতা করেন। হুজুরকে মসজিদও মাদ্রাসা থেকে দেয়ার জন্য সহকারী শিক্ষক আল আমিন স্থানীয় হাফেজকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে নানান মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে লাঞ্ছিত করেছেন।
স্থানীয় মসজিদেও মুসুল্লিরা তাকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। শশীভূষণ থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, মসজিদের ইমামকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাহে আলম নামে একজনকে গ্রেফতার করে রোববার আদারতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারেরর চেষ্টা চলছে।