1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে বন্যার শঙ্কা রয়েছে-প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ ইসির ৩ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু, চলবে ৯ মে পর্যন্ত টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব ও করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান শতভাগ শিক্ষার্থীর মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির মামলা অবশেষে গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দার মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে মাদক ও ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

জাবি সিনেট নির্বাচন: বঙ্গবন্ধু পরিষদ ২৪, ঐক্য পরিষদ ৮, স্বতন্ত্র ১

  • সময় : সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৩২

জাবি প্রতিনিধি :

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেটের ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ২৪ জন ও আওয়ামীপন্থীদের আরেক অংশের সাথে বিএনপন্থী শিক্ষকদের জোট ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ ৮ জন পদে জয় লাভ করেছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাত এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান ভোট গণনা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় তিনি এ সংক্রান্ত সংবিধির ১৪ ধারা অনুযায়ী সবার্ধিক ভোট প্রাপ্তির ক্রমানুসারে ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধির নাম ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এতে মোট ৬১৩ জন ভোটারের মধ্যে ৫৭৭ জন ভোটার ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে মোট ৬৮ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ থেকে জয়ীরা হলেন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এ মামুন, ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক শামীম কায়সার, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইসমত আরা, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা ও অধ্যাপক কৌশিক সাহা, গণিত বিভাগের অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আকবার হোসেন, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক যুগল কৃষ্ণ দাস, অধ্যাপক নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক শফিক উর রহমান, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক খালিদ কুদ্দুস, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফি মোহাম্মদ তারেক, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম ইউসুফ হাসান, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার খসরু পারভেজ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক কে এম মহিউদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুন্ডু ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান ও ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজা খাতুন।

শিক্ষক ঐক্য পরিষদের অধীন আওয়ামীপন্থীদের আরেক অংশ থেকে জয় পেয়েছেন ১ জন। তিনি হলেন- ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর অধ্যাপক মোতাহার হোসেন।

শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আরেক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে জয় পাওয়া ৭ জন শিক্ষক হলেন- গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবেদা সুলতানা, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার আশরাফুল মুনিম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, প্রানিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল রকিব।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে জয় পাওয়া একজন হলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, এ নির্বাচনে জয় আমাদের কাঙ্কক্ষিত ছিল। উপাচার্য মহোদয় দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক গতিশীলতা, অবকাঠামোগত ও শিক্ষা-গবেষণার উন্নয়ন, ডিজিটাল নথির চালু করা ও এক ব্যক্তির এক পদ নীতির বাস্তবায়ন সহ সব ইতিবাচক কাজের প্রতি শিক্ষকদের অকুন্ঠ সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। আগামীতে আমাদের ঐক্য আরো জোরালো হবে।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ কামরুল আহছান বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গণতান্ত্রিক পর্ষদের নির্বাচন কোনো দল বা প্রশাসনের নয়। বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি প্রার্থীরা সাধারণত আলাদাভাবে তাদের ব্যক্তিগত দক্ষতায় জয়ী হয়ে আসেন। কিন্তু এবারে সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় একটি পক্ষ নির্বাচন করেছে যা নজিরবিহীন। কিন্তু তারপরেও সম্মানিত শিক্ষকরা যে সমর্থন আমাদের দিয়েছেন তাতে তাদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রতি ৩ বছর পর নিবার্চন হওয়ার কথা থাকলেও সর্বশেষ ২০১৫ সালে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

বা বু ম/ এস আর

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪