আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শানজি প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ২৬ মিনিটের দিকে শানজি প্রদেশের ইয়ানান শহরের কাছের শিনতাই কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটেছে। পৌর জরুরি ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণের সময় খনিতে প্রায় ৯০ জন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৯ জন ভেতরে আটকা পড়েন। পরে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
দেশটির এই সম্প্রচারমাধ্যম বলেছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় খনির ভেতর থেকে ভূপৃষ্ঠে ছিটকে পড়েছিলেন দুজন। তাদের অবস্থা গুরুতর ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তারা।
এছাড়া বিস্ফোরণে আরও ১১ জন সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। সিসিটিভি বলছে, খনি দুর্ঘটনার কারণ জানতে বর্তমানে তদন্ত চলছে।
গত কয়েক দশকে চীনে খনি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবরও দেশটির গণমাধ্যমে উঠে আসছে। আগে খনি দুর্ঘটনার অনেক খবরই দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হতো না।
তবে দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে দেশটির এমন সব খনিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের স্বায়ত্তশাসিত ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলের একটি কয়লা খনিতে ধসে অন্তত ৫৭ জন নিখোঁজ হন। ইনার মঙ্গোলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় আলক্সা লীগ এলাকায় এই খনি দুর্ঘটনা ঘটে।
কিন্তু দেশটির কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস ধরে ইনার মঙ্গোলিয়ায় খনি ধসের ঘটনায় চূড়ান্ত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। গত জুনে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, খনি ধসে ৫৩ জন মারা গেছেন।
গত ডিসেম্বরে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশের একটি সোনার খনিতে দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় খনি ধসের ঘটনায় সেখানে কর্মরত অন্তত ৪০ জন চাপা পড়েন। এছাড়া ২০২১ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শানজি প্রদেশে একটি কয়লা খনিতে আকস্মিক বন্যায় দেড় ডজনের বেশি শ্রমিক আটকা পড়েন। তাদের মধ্যে অন্তত দু’জনের প্রাণহানি ঘটে এবং বাকিদের উদ্ধার করা হয়।
বা বু ম / অ জি