1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন

ক্রিমিয়া ইস্যুতে ওবামার বক্তব্যকে স্বাগত জানাল রাশিয়া

  • সময় : শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩
  • ১৭৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ক্রিমিয়া ইস্যুতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যে সম্প্রতি অভিমত দিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র ও প্রেসসচিব দিমিত্রি পেসকভ সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে বলেছেন— যুক্তরাষ্ট্রে যে এখনও যৌক্তিক রাজনীতির স্থান রয়েছে, ওবামার বক্তব্য তার প্রমাণ।

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বারাক ওবামা বলেন, ‘ক্রিমিয়ায় কখনও সামরিক অভিযান চালায়নি রুশ বাহিনী। কারণ সেখানকার বাসিন্দাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রাশিয়ায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পক্ষে ছিল। ক্রিমিয়ায় অবশ্যই রাশিয়া তার স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেছে, তবে এক্ষেত্রে ক্রিমিয়া এবং রাশিয়া— উভয়ই সহানুভূতি দেখিয়েছে।’

শুক্রবার ক্রেমলিনের নিয়মিত সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে পেসকভ বলেন, ‘আমরা তার বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রে এখনও অনেক রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যারা রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক করতে চান এবং রুশভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার বিপক্ষে কথা বলেন। সময়ে সময়ে তাদের এসব বক্তব্য আমাদের সামনে আসে।’

‘তবে তার অবগতির জন্য বলতে চাই, ক্রিমিয়ার জনগণের কোনো নির্দিষ্ট অংশ নয়— পুরো ক্রিমিয়ার জনগণ রাশিয়ার অংশ হতে চেয়েছিল।’

ইউক্রেনে বসবাসরত রুশ জনগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। তারপর ওই বছরের মার্চে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ হবে কি হবে না— এই প্রশ্নে গণভোট হয়। গণভোটে ক্রিমিয়ার অধিকাংশ জনগণ রাশিয়ার অংশ হওয়ার পক্ষে রায় দেন।

তারপর ২০১৫ সালে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় মিনস্ক চুক্তি। সেই চুক্তিতে ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার শর্তে স্বাক্ষর করেছিল ইউক্রেন।

তবে বাস্তবে সেই শর্ত এখনও পূরণ করেনি ইউক্রেন; বরং রাশিয়ার কাছ থেকে ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধার করতে ২০১৫ থেকেই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য দেনদরবার শুরু করে দেশটি।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় যে গণভোট হয়েছিল, তাকেও ‘অবৈধ’ এবং ‘রাশিয়ার সম্প্রসারণবাদী মনোভাবের অংশ’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বা বু ম / অ জি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪