রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভায় ০১ যুবকের রহস্য যনক আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটনে তদন্ত করছে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় চারঘাট পৌরসভার আস্করপুর সরকারপাড়া গ্রামের ইসমাইলের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (২৪) আত্মহত্যার করেছে বলে দাবি করেছে পরিবারের আত্মিয় স্বজনরা। নিহতের চাচাতো বোন নিলা (পুলিশ সদস্য, ঢাকায় কর্মরত) প্রতিবেদককে বলেন, তিনি প্রায় ৫বছর যাবত সরকারী চাকুরীরর কারনে নিজ গ্রামের বাড়ির বাহিরে অবস্থান করছেন। বর্তমান তিনি সরাকরী ছুটিতে আছেন।
গতকাল সন্ধায় ইফতারের পূর্ব মহুতে সাজেদুল মাদক নেশা করার জন্য ২শত টাকা তার পরিবারের কাছে দাবি করে। কিন্ত পরিবার তার দাবি অসম্মতি প্রকাশ করে একটি শয়ন কক্ষে আটক করে রাখে। পরক্ষনে তাকে ওই কক্ষ থেকে উদ্ধার করতে গেলে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। ওই সময় নিহতের বড় ভাই সাহবুদ্দিন (৩৫) এবং বর্শা মিলে ঝুলন্ত সাজেদুলকে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎস শারমিন তাকে মৃত ঘোষণা করনে।
স্থানীয়রা নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, নিহত গত প্রায় ৫ বছর যাবত মালেশিয়ায় কর্মরত ছিল। তার আয়ের ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা বাবার নিকট পাঠায়। নিহত সাজেদুল দেশে ফেরার পর তার অর্জিত টাকা ফেরত চাইলে পরিবার সদস্যরা অসম্মতি প্রকাশ করে। এই লাঞ্ছনা সইতে না পেরে বন্ধুদের সাথে প্রায় মাদক সেবন করতো। তাছাড়া তার অর্জিত টাকা নিয়ে পরিবারের মাঝে প্রায় বাতবিতান্ড হতো। তবে একই বিষয় গতকাল সন্ধায় তাদের মধ্যে ঝগরার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার সূত্রপাতে নিহতের বাবা, ভাই এবং আত্মিয় স্বজনরা মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে সাজেদুল গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রতিবেদককে জানায় স্থানিয়রা। কিন্ত তার মা ফরিদা বেগম বলেন, সাজেদুল নেশা করার জন্য তার কাছে টাকা দাবি করে। কিন্ত তাকে টাকা দিলে সে একিিট শয়ন কক্ষে গিয়ে আত্মহত্যা করে।
এবিষয়ে চারঘাট মডেল থানার এসআই সাহ নেওয়াজ বলেন, শুক্রবার সকালে ১০.৩০টার সময় নিহতের মৃত দেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে (রামেক) ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমান পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম।