সোহেল রানা,সাভার(ঢাকা):
বগুড়া থেকে ঢাকাগামী একটি নৈশ কোচে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদের কাছে জিম্মি অবস্থায় মারধরের শিকার হয়ে ওই কোচের চালক, সুপারভাইজার ও তার সহকারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
ঢাকা আরিচা মহাসড়কে শুক্রবার(১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে সোনার তরী কোচের চালক মো: পাভেল (৩৯) জানান।
আহতরা হলেন- সোনার তরী ঢাকা মেট্রো-ব ১১-১৫০৫ কোচের চালক মো: পাভেল (৩৯), সুপারভাইজার সহিদুল আলম সহিদ(৪৫),হেলপার শাহীন (২৬)। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলার নন্দী গ্রাম থানার ভাটগ্রাম এলাকার হযরত আলীর ছেলে ও সোনার তরী কোচের চালক মো: পাভেল বলেন, বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকার গাবতলীগামী কোচটি শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়ার ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনাল থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে রওনা হয়ে আসার পথে এলেঙ্গা এলাকায় থামে। এ সময় ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি বাসে ওঠে। পরে তারা অন্য সব যাত্রীর মত আসতে থাকলে সাভারের গেন্ডা এলাকায় রাত সাড়ে ১১ টায় অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এরপর চলন্ত বাসে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ডাকাতিকালে যাত্রীদের কাছে থাকা নগদ টাকা এবং সুপারভাইজারের কাছে থাকা ১৩ হাজার টাকা লুট করে। পরে সাভারের গেন্ডা থেকে মহাসড়কে ইউটার্ন করে ডাকাতরা মির্জাপুরের ক্যাডেট কলেজের সামনে নেমে যায়।
বগুড়া জেলার সদর থানার সিলিমপুর গ্রামের মৃত শেখ হযরত আলীর ছেলে ও সুপারভাইজার সহিদুল আলম সহিদ(৪৫) বলেন, মির্জাপুরের এলেঙ্গা থেকে যাত্রী বেশে ৭/৮ জন উঠে ডাকাতরা সকল যাত্রীর চোখ কসটেপ দিয়ে বেধে দেয়। আমি, সহকারী ও ড্রাইভারের মুখ বেঁধে তাদের মুখে ও মাথায় আঘাত করে তার কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। কোচটি তারা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরে আমাদের প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা ঘুরায়। এখন সাভার থানা বলছে মির্জাপুর থানায় মামলা দিতে আর মির্জাপুর থানা বলছে সাভার থানায় মামলা দিতে এখন আমরা কি করবো।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন বলেন, সকালের দিকে ওরা আমাদের কাছে আসছিল। যেহেতু ঘটনার শুরু সাভারে সে কারণে মামলা সেখানেই হবে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন,বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সামনে থেকে সেহেতু মামলা সেখানেই হবে, ভুক্তভোগির ভাষ্য অনুযায়ী আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজে এমন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।