শার্শা (যশোর) প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শার পল্লীতে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হলেও ১০দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে ধর্ষককে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে। শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। পারিপাশির্^ক চিন্তা করে মেয়ের স্বজনেরা বিষয়টি কোন সংবাদকর্মীকে জানাননি। বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনার বিষয়টি বুধবার রাতে সংবাদকর্মীরা জেনে যান।
নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুল ছাত্রী স্কুলে যাওয়া আসার সময় একা পেলে কুপ্রস্তাব দিতো একই গ্রামের আনসার আলী গাজীর বখাটে ছেলে প্রাইভেটকার চালক বজলু গাজী। ঘটনার দিন গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল ওই স্কুল ছাত্রী। এ সময় ওৎ পেতে থাকা বজলু গাজী তাকে জোরপূর্বক ধরে একটি ঘরে নিয়ে যায় এবং ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মুখে ওড়না পেচিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরীর আর্ত চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক বজলু তাকে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি পরিবারকে জানালে তার বাবা বাদী হয়ে বজলুকে আসামি করে পরের দিন সকালে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৯দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক বজলু গাজীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক থেকে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রাখছে ধর্ষক।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বদরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ডসহ ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। ধর্ষককে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।