1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

মাদারীপুরের কালকিনিতে দু’পা হারানো বেল্লালের মানবেতর জীবন-যাপন

  • সময় : সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১
  • ২৯২

রকিবুজ্জামান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ


“বেল্লাল মোল্লা একসময় ছিল সুস্থ্য-সবল একজন টকবকে তরুন। গ্রামের মানুষের সাথে হাঁসি-আনন্দে মেতে থাকতেন সবসময়।গরীব পরিবারে জন্ম হওয়ায় লেখা-পড়া করতে পারেননি তিনি। দারিদ্রতার মধ্যদিয়ে বড় হলেও মনে ছিলনা কোন দুঃখ বেদনা। কিন্তু হঠাৎ করে নিয়তি তার সকল হাসি-আনন্দ জীবন থেকে কেড়ে নিয়ে যায়। ঠিক ১৮ বছর আগে তিনি একটি লঞ্চ দুর্ঘটনায় দু’পা পুরোটাই হারিয়েছেন তিনি।সেই থেকে তার জীবনে নেমে আসে অভিশপ্ত কালো ছায়া। তারপর থেকে পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশিদের কাছে অবহেলার পাত্রে পরিনত হন। তার বয়স বর্তমানে ৩৪ বছর।বর্তমানে চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। মাঝে-মাঝে এই অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতে নিজের মৃত্যু কামনা করছেন। তিনি সমাজের বোঝা হয়ে আর বেঁচে থাকতে চাননা।” বলছিলাম মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সিডিখান এলাকার মাথা ভাঙ্গা গ্রামের মোঃ নজরুল মোল্লার ছেলে বেল্লাল মোল্লার কথা।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানান, বেল্লাল মোল্লা ১৬ বছর বয়সে বরিশাল থেকে লঞ্চযোগে ঢাকা যাওয়া পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। এতে তার দুই পাঁ পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়ে যায়। পরে চিকিৎসকরা তার দুই পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন। এ দুর্ঘটনায় তিনি পা হারানোর পর কিছুটা সুস্থ্য হয়েই বিয়ে করেন। বর্তমানে তার সংসারে স্ত্রী, মেয়ে বৃষ্টি ও ছেলে আরিয়ান রয়েছে। মেয়ে বৃষ্টি মাথা ভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী। ছেলে আরিয়ান একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র। তবে পঙ্গু জীবন বেল্লালকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি নিজের কিছু জমি বিক্রি করে বাড়ির পাশে একটি দোকান দিয়ে চা বিক্রি করছেন। দোকানে যা আয় হয় সেই আয়ের টাকা দিয়ে বেল্লাল খুব কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছেন।ছেলে-মেয়ের লেখা পড়ার খরচ যোগাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। তার ছেলে-মেয়ের লেখা-পড়ার খরচ যোগাতে গিয়ে মাঝে মধ্যে পরিবার নিয়ে অর্ধআহাড়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।কখনো বেল্লাল শারীরিকভাবে খুব বেশি অসুস্থ্য হয়ে পরলে তার দোকান বন্ধ রাখতে হয়।তখন না খেয়েই দিন কাটাতে হয় পরিবারের সদস্যদের।
বেল্লাল মোল্লার মেয়ে বৃষ্টি আক্ষেপ করে বলে,আমার স্কুলের সবার বাবারা তাদের স্কুলে নিয়ে যায় এবং নিয়ে আসে।আমার বাবার দুটো পা নেই। যদি আমার বাবাকে কেউ দুটো কৃত্রিম পায়ের দান করতো তবে সবার মতো আমার বাবা ও আমাকে স্কুলে দিয়ে আসতে পারত।
প্রতিবন্ধী বেল্লাল মোল্লা বলেন, আমি ভিক্ষা করে খেয়ে বাঁচতে চাইনা। আমি কাজ করে খেয়ে বাঁচতে চাই। দোকানের আয় থেকে আমি আমার চিকিৎসা খরচ যোগাতে পারিনা। তাই উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাকে যদি সরকারিভাবে বা কোন হৃদয়বান/বিত্তবান ব্যক্তি দুইটি কৃত্রিম পা প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে আমি তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪