আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
হাতির পিঠে বসা মাহুত। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় তুলে সালাম দিচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দেয়া না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত শুঁড় তুলছে না হাতিটি। পথচারী, যানবাহন থামিয়ে একই কায়দায় টাকা আদায়। এভাবে ১০ থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীতে হাতিটির দেখা মেলে।
দোকানদার এবং পথচারীরা জানান, শনিবার সকাল থেকে হাতি দিয়ে চাঁদা তোলা হয়। রাস্তা আটকে যান থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। দোকান থেকেও একই কায়দায় টাকা আদায় করা হয়েছে।
মোটরবাইক চালক এবং স্কুল শিক্ষক দীপংকর পোদ্দার বলেন, ‘টাকা না দিলে হাতিটি সড়ক দিয়ে যানবাহন যেতে দেয়নি। আমি স্কুলে যাওয়ার পথে হাতির চাঁদাবাজির শিকার হয়েছি।’
এ ব্যাপারে কথা হয় হাতির মাহুত রবিউলের সঙ্গে। তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘এভাবেই নিত্যদিন চাঁদা তোলা হয়। হাতিটি দি লায়ন সার্কাসের। খুলনা থেকে ফরিদপুর যাওয়ার পথে যে যা দিচ্ছে তাই নিচ্ছি।’
তবে তিনি দাবি করেন, কাউকে টাকার জন্য জোর করেন না। হাতি দেখলে সবাই খুশিমনে টাকা দিয়ে দেন। খুশি করে দেওয়া টাকা ‘চাঁদাবাজি’ হতে পারে না।
জানা গেছে, বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে লালন-পালন করা হাতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। তবে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি বন্ধ করতে সাধারণ আইনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিতে পারেন।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। এরপর কেউ অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।