এম.শাহীন আল আমীন,জামালপুর ॥
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দাদন ব্যবসায়ীর শর্ত মেনে উলঙ্গ হয়েও শেষ রক্ষা হয়নি অসহায় এক দরিদ্র দিন মজুরের। এরপরও দাদন ব্যবসায়ীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দরিদ্র ওই দিন মজুর। বকশীগঞ্জ উপজেলার নতুন টুপকারচর গ্রামের এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান,মেরুরচর ইউনিয়নের নতুন টুপকারচর গ্রামের সাধু শেখের ছেলে সফিকুল ইসলাম চিহ্নিত একজন দাদন ব্যবসায়ী। গত চার বছর আগে দাদন ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামের কাছ থেকে চড়া সুদে ১০ হাজার টাকা নেন একই এলাকার মৃত বাচ্চু শেখের ছেলে নান্ডা শেখ (৫৫)।
১০ হাজার টাকা সুদে নিলেও গত চার বছরে প্রায় ৪০ হাজার টাকা সুদ দেন নান্ডা শেখ। আসল ১০ হাজার টাকা থেকেও ৫ হাজার টাকা ফেরত দেন তিনি। এরপরেও ৫ হাজার টাকার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিতে থাকে দাদন ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম। করোনা দূর্যোগের কারনে ৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে পারছিলেন না নান্ডা শেখ। গত এক মাস আগে দাদন ব্যবসায়ী সফিকুল মিয়া বৃদ্ধ নান্ডা শেখকে একটি শর্ত দেয়। শর্ত মানলে ৫ হাজার টাকা আর ফেরত দিতে হবে না। শর্তটি হলো প্রকাশ্যে সবার সামনে উলঙ্গ হতে হবে। টকা ফেরত দিতে না পারায় বাধ্য হয়ে অসহায় বৃদ্ধ নান্ডা শেখ সবার সামনে উলঙ্গ হয়। বৃদ্ধ নান্ডা শেখ ভেবেছিলেন ৫ হাজার টাকা আর ফেরত দিতে হবে না। সফিকুলও একমাস আর টাকা চায়নি। গত শুক্রবার সফিকুল আবারো নান্ডা শেখকে টাকা ফেরতের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। টাকা দিতে না পারায় প্রকাশে বৃদ্ধ নান্ডা শেখ মারধোর করে দাদন ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জানান,এই ঘটনায় রাতেই গ্রাম্য শালিস বৈঠক হয়েছে। শালিসে দাদন ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম নান্ডা শেখের কাছে ক্ষমা চেয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম স¤্রাট জানান,বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।