-শামিম বিশ্বাস রাজবাড়ীঃ –
আগামী নভেম্বরের শেষের দিকে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়ন জুড়ে ভোটারদের মধ্যে বইছে উৎসাহ-উদ্দীপনাও।
সরেজমিনে পাংশা উপজেলার ১০ নং কসবামাজাইল ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থান ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নেওয়া হয়েছে নানানরকম কৌশল। প্রার্থীরা ভোটের জন্য ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা হওয়ার পর প্রচার প্রচারনা থেকে সরে এসেছিলেন প্রার্থীরা। নতুন করে দ্বিতীয় ধাপের তারিখ ঘোষণার পর আবারও সরব হয়ে উঠেছেন চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের প্রার্থীরা। দ্বিতীয় ধাপে নতুন তারিখ ঘোষণার পর নতুন করে লাগানো হচ্ছে ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার, করা হচ্ছে উঠান বৈঠক। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে শুরু করেছেন অনেকেই।
হাট-বাজারের চায়ের দোকানগুলো নির্বাচনী আলাপে মুখর হয়ে উঠছে।
কসবামাজাইল ইউনিয়ন: উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন ৮ জন।
এদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান মো.কামরুজ্জামান খান, সাবেক চেয়ারম্যান ও কসবামাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুদ্দিন মন্ডল (শাম), তরুণ প্রজন্মের তরুণ নেতা, কসবামাজাইল ইউপির সবথেকে উদীয়মান নেতা মো. মারুফ খান, মো. রাকিবুল বিশ্বাস, মো. মতিন বিশ্বাস, মো. আনোয়ার খান, মশিউর রহমান পিল্টু এবং মো. শাহরিয়ার মাহমুদ সুফল। নির্বাচনে মো. মারুফ খান ও রাকিবুল বিশ্বাসের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, করোনার কারণে নির্বাচন ধোঁয়াশা হওয়ায় পরবর্তী সময়ে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন তরুণ প্রজন্মের সবথেকে উদীয়মান নেতা মো. মারুফ খান। তিনি এলাকার হতদরিদ্র, সুবিধাববঞ্চিত মানুষদের খাদ্য সহায়তাসহ নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন। এখনো সহযোগিতা করেই যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো. মারুফ খান বলেন,‘আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, আমি মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হব না আমি হব ইউনিয়ন জনগণের চেয়ারম্যান যেমন গত বছরগুলোতেও ইউনিয়নবাসীর পাশে ছিলাম। সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে এলাকার জনগন সবসময় আমাকে পাশে পেয়েছে। এলাকার উন্নয়ণ আমার দ্বারা যতটুকু সম্ভব আমি করেছি এবং করবো। এ নির্বাচনে যদি এলাকার মানুষ আমাকে নির্বাচিত করে তবে আমি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ইউনিয়ন গড়ে তুলবো এটা আমার ওয়াদা ও এক ইস্তেহার। এছাড়াও আমি ইউনিয়ন থেকে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ। আমি বিশ্বাস করি এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবসে আামার পাশে থেকে ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন।
এ দিকে নিজের অবস্থানকে শক্ত করতে দিনরাত কাজ করে চলেছেন চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী রাকিবুল বিশ্বাস (রাকিব)।
তিনি বলেন, এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্যই নির্বাচনে আমার অংশ নেয়া। মানুষের পাশে থেকে এই ইউনিয়নের জন্য কাজ করে যেতে চাই। ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করলে নতুন এক পাঁচ্চর আমি উপহার দেবো।