মোঃ রেজাউল হাসান সুমন, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মদন উপজেলার ১নং কাইটাইল ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের, কৃষক শামসুদ্দিন মিয়ার ছেলে, তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্র আলিমুল(১০)কে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, গাছের ডাল দিয়ে ডিল মারলে, সেই ডিল গিয়ে লাগে আলিমুলের চোখে। এতে করে গুরুতর আহত হয় স্কুল ছাত্র আলিমুল। এঘটনাটি ঘটিয়েছে একই গ্রামের মাজু মিয়ার ছেলে শামিল (১৮)।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, কৃষক সামসুদ্দিনের (৪৫) সাথে পূর্বে হইতে জমাজমি নিয়ে বিরোধ লেগে আছে, প্রতিবেশী মাজু মিয়ার (৫০)এর সাথে ।
সেই সুবাদে গত ৩ জুন ২০২১ইং তারিখে প্রতিবেশী আব্দুর মোল্লার বাড়ির সামনে স্কুল ছাত্র আলিমুল ( ১০)অন্যান্য বাচ্চাদের নিয়ে খেলা করছিল। শামিম( ১৮) খেলাধুলা কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে স্কুলছাত্র আলিমুল কে গাছের ডাল দিয়ে ডিল মারলে চোখে গিয়ে লাগে গুরুতর আহত হয় আলিমুল।
সাথে -সাথে নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ভর্তি করার পর ,চোখ আশংকা জনক হওয়ায় তাকে রেফার্ড করেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ময়মনসিংহ মেডিকেলের কর্তব্যরত ডাক্তার ভর্তি করার পর তার অবস্থা আশংকা জনক দেখে তাকে রেফার্ড করেন ঢাকা ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট আহাদ হাসপাতালে।
চোখ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বলেন, আলিমুলের বাম চোখটি নষ্ট হয়ে গেছে। এবিষয়টা নিয়ে এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তি বর্গ দফায় দফায় কয়েক বার দরবার শালিস করেন। বিষয়টা শেষ করার জন্য। সমাধান না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার গ্রামের মাতাব্বর গণের সহায়তায় নিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সন্তোষ বলেন,
,চোখটা নষ্ট করেছেন, এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে চিকিৎসা নিয়েও প্রতারণা করেছেন। শামিমের বড় ভাই আব্দুর রব জানায় আমরা চিকিৎসার জন্য তাদের কে ২৫০০০ হাজার টাকা ও দিয়েছি বিষয়টা শেষ করার জন্য।
এ বিষয় জানতে চাইলে, কাইটাইল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শাফায়াত উল্লাহ( রয়েল) বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক আইনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
মদন থানা অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আলম বলেন , অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।