মো:মোফাসসেল সরকার,কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মীরাকান্দি গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে তিন সন্তানের জনক ইসলাম উদ্দীন (৪৫) তার প্রতিপক্ষ জুনাইদ মিয়া সহ ১০/১৫ লোকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয়ে হামলা চালানোর ১৩দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।এই ঘটনায় মো:জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় জুনাইদ মিয়া(২০),মঞ্জিল মিয়া(৫০),সজীব মিয়া(২২),সোহাগ মিয়া(২০),ফরহাদ(২৫),নজরুল ইসলাম(২২),নিলুফা বেগম(২৫),মাহমুদা বেগম(২৮),সরফা বেগম (৩৮) সহ আরো ৪/৫ বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে।কিন্তু ইসলাম হত্যাকান্ডের ১৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে ও আজ পর্যন্ত ১টি আসামীকে ও গ্রেফতার করতে পারেনি বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে ইসলাম উদ্দীন তার নিজের জমিতে কীটনাশক দিতে গেলে প্রতিপক্ষ জুনাইদ মিয়া,মঞ্জিল মিয়া,সজীব মিয়া,সোহাগ মিয়া,ফরহাদ,নজরুল ইসলাম ও মালেক মিয়া সহ ১০/১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয়ে হামলা চালালে ৪জন গুরুতর আহত হয়।
গুরুতর আহতদের মধ্যে ইসলাম উদ্দীন (৪৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর মারা যান।
গুরুতর আহতদের মধ্যে ইসরাইল মিয়া,বাচ্চু মিয়া ও জিল্লু মিয়া হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে আসলেও স্পষ্টভাবে এখনও কথা বলতে পারছে না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,ইসলাম ও তার বাপ দাদারা ১ একর ৪২ শতাংশ জমি মালিকানা মূলে প্রায় ৪০ বছর যাবত চাষাবাদ করে আসছেন।পরে প্রভাবের দাপটে মালেক গংরা নিহত ইসলাম উদ্দীন গংদের বিভিন্নভাবে বাঁধা প্রদান করে আসছেন।নিহত ইসলাম উদ্দীনের নিজের জমি আদালত থেকে ২বার রায় পেলেও মালেক গংরা বিজ্ঞ আদালতের রায় অমান্য করে জোরপূর্বক এলাকার প্রভাবশালীদের নিয়ে জবর দখল করে আসছে বলে এলাকায় অভিযোগ ওঠেছে।
এ বিষয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইসলাম উদ্দীন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।