ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের ছলেমানপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার শিক্ষক অত্র উপজেলার ছলেমানপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃতঃ আনসার আলী বিশ্বাসের পুত্র ও ছলেমানপুর কওমি দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক।
সে বিবাহিত, তার একটি ছেলে সন্তান ও রয়েছে। এ নেক্কারজনিত ঘটনা জানাজানির পর থেকে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা হাসানুজ্জামান পলাতক রয়েছে।পলাতক অবস্থায় ভুক্তভোগী খুলনাতে অবস্থান করছিলো। ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী উপজেলার ছলেমানপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আসাদুল ইসলামের মেয়ে লাখী খাতুন (১০) ও আতাবুল ইসলামের মেয়ে মরিয়ম খাতুন(১০)।
তারা দুজনই ছলেমানপুর কওমি দারুল উলম মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী। এই বিষয়ে ভুক্তভুগী লাখী খাতুন বলেন, আজ থেকে আনুমানিক গত ১৫ দিন পূর্বে হাসান স্যার আমাকে বলে স্যারের বাড়ি থেকে ভাত নিয়ে আসার জন্য, স্যারের বাসা মাদ্রাসার সাথেই।
আমি স্যারের বাসা থেকে ভাত আনতে গেলে স্যার ও আমার পিছনে পিছনে স্যারের বাড়ি যায়, আমি দেখি স্যারের বাসায় কেউ নেই। তখন আমি চলে আসতে চাইলে স্যার আমাকে হাতে ধরে কাছে টেনে নেয়। পরে আমাকে জড়িয়ে ধরে খাটের উপরে তুলে আমার উপরে ওঠে পড়ে।
আমি কান্না করতে লাগলে আমাকে ছেড়ে দেয় ও বলে এই কথা যদি কাউকে বলিস তাহলে তোকে প্রাণে মেরে ফেলবো। আমি ভয়ে আর কাউকে বলিনি। একই গ্রামের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম খাতুনের সাথে একই ঘটনা ঘটায়। অভিযুক্তের পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক ঘটনা ঘটার অভিযোগ রয়েছে।
একটি মহল ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিচারের নামে কালক্ষেপণ করছে।বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা যাচ্ছে। এদিকে মহেশপুর থানা ওসি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, উক্ত ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দুইটা জিডি দায়ের হয়েছে।