নিজস্ব প্রতিবেদন
ঢাকার কেরানীগঞ্জে পরকীয়া প্রেমের জেরে কবিরাজ মফিজ হত্যা মামলায় দুই আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নীর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হিন্দুপাড়া গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার লাকী ওরফে হাসিনা ও একই এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে মো. সালাউদ্দিন।
আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অন্যদিকে মামলার অপর আসামি নজরুল ইসলাম মারা যাওয়ায় এ মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেন বিচারক।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের বিউতা কবরস্থানের সামনের ডোবা থেকে কবিরাজ মফিজের হাত-পা-মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই এস এম মেহেদী হাসান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, নিহত মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ কবিরাজ ঢাকার সাভার থানার ভাকুর্তার কাইশ্যারচরের মতিউর রহমানের ছেলে। মামলার তদন্ত চলাকালে ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি গ্রেপ্তারহন আসামি মাকসুদা ও সালাউদ্দিন। পরে জামিন পেয়ে পলাতক হন তারা।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দখিল করে ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশ। মামলার বিচার চলাকালে ১৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, এটি একটি নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। একজন মানুষকে মেরে ১০ টুকরো করা- এটা কোনো সভ্য সমাজের মানুষের কাজ হতে পারে না। হত্যার পর আসামিরা মরদেহ মাগুর মাছকে খাওয়ানোর জন্য একটি খামারে ফেলে দেয়। মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।