মহি উদ্দিন আরিফ
ধর্মপাশা প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ছয় বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক আসামীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামী রবিবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়েছে জামিন আবেদন করলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত আসামী রহম আলীর (৫৫) বাড়ির ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের নোয়াবন্দ বাগার গ্রামের বাসিন্দা। শিশুর মা বাদী হয়ে গত বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে রহম আলীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্মপাশা থানায় মামলা করেছিলেন। । ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও এসআই কাজল মিয়া রহম আলীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিশুটির পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী রহম আলীর বাড়িতে ওই শিশুটি প্রায়ই টিভি দেখতে যেতো। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটি টিভি দেখতে যায়। তখন রহম আলী স্ত্রী খাদিজা ও তার সন্তানেরা বাড়িতে ছিল না। সেই সুযোগে শিশুটিকে একা পেয়ে যৌন নিপীড়ন করে এবং ধর্ষণ চেষ্টা চালায় রহম আলী। এ সময় শিশুটি যাতে আত্মচিৎকার না দিতে পারে সেজন্য রহম আলী শিশুটির মুখ চেপে ধরেছিল। শিশুটি কোনো রকমে সেখান থেকে ছুটে বাড়িতে আসে। পরে শিশুর অস্বাভাবিক আচরণ ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে যৌন নিপীড়নের চিহ্ন দেখে শিশুটির মায়ের সন্দেহ হয়। তখন শিশুটি তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে ব্যথা অনুভব হচ্ছে জানিয়ে সমস্ত বিষয় খুলে বলে। খবর পেয়ে শিশুর বাবা শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে রহম আলীর ভাই রাসটো মিয়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসে। পরে স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর ও রহম আলীর পরিবারের লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়াসহ সামাজিকভাবে তা শেষ করার চেষ্টা করে। এমনকি শিশুটির পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে থানায় যেতেও বাধা দেওয়া হয়। পরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।