বরগুনার তালতলীতে সংবাদ সংগ্রহের সময় মল্লিক মোঃ জামাল নামের এক সাংবাদিকের উপরে হামলা চালিয়ে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী।
গতকাল(১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলা ও ভুক্তভোগি সূত্রে জানা যায়, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের তালতলী প্রতিনিধি,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মল্লিক মোঃ জামাল উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় চোরাই মালামাল বিক্রি হয় এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে স্থানীয় ইমরান দোকানের সামনে পাকা রাস্তায় উল্লেখিত চোরাই মালামালের ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করায় বাধাগ্রস্ত করেন। একইসাথে ঘটনাস্থলে বসে ঔ সাংবাদিকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তথ্য সংগ্রহ করে ফেরার পথে ঘটনার জের ধরে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী হুমায়ুন খন্দকার এবং সংবদ্ধ চোরাচালানির সাথে জড়িত মো. নাসিরসহ অপরিচিত ৫-৬ জন আমার পথরোধ করেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই হুমায়ুন খন্দকার ও নাসির চর-থাপ্পর ও রড দিয়ে এলোপাথেরি পিটাতে থাকেন ও সাথে থাকা একটি এন্ড্রেয়েট ফোনটি ভাঙ্গিয়া ফেলে। এসময় ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে পাঠায়। পরে ঔ রাতেই সাংবাদিক মল্লিক জামাল তালতলী থানায় সন্ত্রাসী হুমায়ুন খন্দকার ও চোর চক্রের সদস্য নাসিরকে আসামীকে ৫-৬ জন আসামী করে মামলা ধায়ের করেন।
আহত সাংবাদিক মল্লিক জামাল বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মালামাল চুরি করে বিক্রী করছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে যাই। তথ্য সংগ্রহ করে ফেরার পথে এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী হুমায়ুন খন্দকার এবং সংবদ্ধ চোরাচালানির সাথে জড়িত মো. নাসিরসহ অপরিচিত আমার উপরে হামলা করেন। এঘটনায় থানায় একটি মামলা ধায়ের করি।
এবিষয়ে তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন আমাদের ফোরামে জরুরী মিটিং ডাকা হয়েছে পরবর্তী সিদ্ধন্ত নেওয়া হবে।
তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দ্রুত আসামীদে গ্রেফতারের দাবি করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, সাংবাদিক মল্লিক জামাল এর উপরে হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।