1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নাগরিক জীবনে সর্বত্রই পুলিশের অবদান রয়েছে- ডিএমপি কমিশনার ইউক্রেন-ইসরায়েলের সহায়তা বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর আবারও সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর সম্পন্ন চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব নেতাদের নিকট প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ-ওবায়দুল কাদের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর আজ ২ মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত র‌্যাবের নয়া মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম

ৱ্যাবেৱ অভিযানে আটক প্রতারক নুরুল ইসলামের বাড়ীও ভোলায়!

  • সময় : মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৩২

গাজী তাহের লিটন, ভোলা:

ইতোপূর্বে বহুল আলোচিত প্রতারক দীপুর পর সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ৱ্যাবের হাতে আটক নুরুল ইসলামর বাড়িও দ্বীপজেলা ভোলায় বলে জানাগেছে।দালালির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া টেকনাফ বন্দরের সাবেক চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

টেকনাফ স্থলবন্দরে ২০০১ সালে দৈনিক চুক্তিভিত্তিক ১৩০ টাকায় কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি নিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম। আট বছর পর ২০০৯ সালে সেই চাকরি ছেড়ে দেন। তবে নিজের আস্থাভাজন আরেকজনকে ওই পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে জড়িয়ে পড়েন দালালি সিন্ডিকেটে। বর্তমানে নুরুল ইসলাম ৪৬০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক। রয়েছে একাধিক প্লট, ফ্ল্যাট, গড়ে তুলেছেন নামে-বেনামে একাধিক প্রতিষ্ঠান।

র‌্যাবের দাবি, টেকনাফ বন্দরে নিজের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে চোরাকারবারি, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ পণ্য খালাস ও দালালির কৌশল রপ্ত করেন নুরুল ইসলাম। বন্দরে দালালির বিভিন্ন সিন্ডিকেট গড়ে অবৈধভাবে অর্জন করেছেন এত টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি গোয়েন্দা সংস্থা ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে সোমবার মধ্যরাতে ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। নুরুল ইসলাম ভোলা সদরের পশ্চিম কানাই নগরের মো. আবদুল মোতালেবের ছেলে। অভিযানে উদ্ধার করা হয় ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যমানের জাল নোট, মিয়ানমারের ৩ লাখ ৮০ হাজার মূল্যমানের মুদ্রা, ৪ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা এবং নগদ ২ লাখ ১ হাজার ১৬০ টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার নুরুল ইসলাম তার অপরাধ সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছেন খন্দকার আল মঈন। র‌্যাবের বরাতে জানা যায়, নুরুল ইসলাম টেকনাফ বন্দর কেন্দ্রিক দালাল সিন্ডিকেটের প্রধান। তার সিন্ডিকেটে ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে। যারা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দালালি কার্যক্রমগুলো করে থাকে। এই সিন্ডিকেটটি পণ্য খালাস, পরিবহণ সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পথে অবৈধ মালামাল খালাসে সক্রিয় ছিল। সিন্ডিকেটের সহায়তায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কাঠ, শুঁটকি, বরইয়ের আচার, মাছ ইত্যাদির আড়ালে অবৈধ পণ্য নিয়ে আসত। চক্রটির সদস্যরা টেকনাফ বন্দর, ট্রাক স্ট্যান্ড, বন্দর লেবার ও জাহাজের আগমন-বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করত। গ্রেফতার নুরুলের সঙ্গে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের যোগসাজশ ছিল বলেও জানা গেছে।

অবৈধ ও নিষিদ্ধ পণ্যের কারবারের জন্য হুন্ডি সিন্ডিকেটের সঙ্গে সমন্বয় এবং চতুরতার সঙ্গে আন্ডার ও ওভার ইনভয়েস কারসাজি করত নুরুল ইসলাম। অবৈধ আয়ের উৎসকে ধামাচাপা দিতে এমএস আল নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এমএস মিফতাউল এন্টারপ্রাইজ, এমএস আলকা এন্টারপ্রাইজ, আলকা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এবং এমএস কানিজ এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সে।

ভূমিদস্যুতা, দালালি ও অবৈধ কার্যক্রমে অর্জিত অর্থে ঢাকা শহরে ৬টি বাড়ি ও ১৩টি প্লট কিনেছে। এছাড়াও সাভার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, ভোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে ৩৭টি জায়গা, প্লট, বাগানবাড়ি রয়েছে তার। নামে-বেনামে তার বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ১৯টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

কমান্ডার আল মঈন বলেন, নুরুল ইসলামের সঙ্গে কারবারিদের ইয়াবা বেচাকেনার তথ্যও আমরা পেয়েছি। তার ঢাকার বাসা থেকে ইয়াবাও জব্দ করা হয়েছে। কক্সবাজার ও টেকনাফ কেন্দ্রিক মাদক কারবারিদের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে। আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তার ছিল সখ্য। কম্পিউটার অপারেটরের পদে থাকার সময় আমদানি-রপ্তানিকারক দুটি বেনামি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে বিপুল অর্থ হাতিয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার আল মঈন বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশকেন্দ্রিক বাণিজ্য করার সুবাদে সে দেশের দালালদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। সে দেশের দালালদের মাধ্যমে জাল টাকার লেনদেন করত।

দেশের জনপ্রশানের কতপিয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আশির্বাদপুষ্ট হয়ে দীপু ও নুর ইসলামের মতো প্রতারকরা রাতারাতি অবৈধপন্থায় কোটিকোটি টাকা ও সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪