নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সংবাদদাতা ঃ
মোঃ মিজানুর রহমান//পিরোজপুর জোলা প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের নেছারাবাদে সরকারি রাস্থায় বাজার বসিয়ে অবৈধভাবে নিয়মিত খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদিন রাস্থার উপরে বসানো নিত্য প্রয়োজনীয় মাছ ও তরকারির দোকান এবং ভাসমান নৌকা, ট্রলারে নিয়ে আসার সবজি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত আদায়ের কথা জানালেন একাধিক দোকানদার। মাছ ও তরকারির এসকল খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, বছরের পর বছর ধরে আমরা এ টোল দিতে বাধ্য হচ্ছি।অবৈধভাবে উত্তোলন করা এ টোল না দিলে আদায়কারির খারাপ ব্যবহার শুনতে হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে সুটিয়াকাঠি ইউপির নান্দুহার গ্রামের জরুর বাড়ি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রাস্থার উপর মাছ ও সবজি খুচরা বিক্রি করছেন একাধীক ব্যবসায়ী। অন্যদিকে বাজারের পাশে সরকারি খাল দখল করে দোকানঘর তৈরী করে ভাড়া দিয়েছেন একাধীকজন। যে কারনে এই খাল থেকে নৌকা ও ট্রলার চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় আল আমিন আমাদের কাছে প্রতিদিন টোল নেয়। আল আমিন টাকা আদায়ের বিষয়ে স্বীকার করে বলেন, বাজারের সভাপতি মোঃ শহিদ ও সম্পাদক মোঃ মাসুম বলতে পারবেন। আমি শুধু তাদের আদেশ পালন করি।
টোল আদায়ের ব্যাপারে সভাপতি মোঃ শহিদ বলেন, যা কিছু সবই মাসুম পরিচালনা করে। আমি এর কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে মোঃ মাসুম জানান আমি একা নই আরো অনেকেই খাল দখল করে দোকানঘর করেছে ও ভাড়া দিচ্ছে এবং বাজার থেকে টাকা তুলে আমরা স্থাণীয় মসজিদের উন্নয়নের খরচ করি। তবে আগে আমি আগে তুলতাম এখন আর আমি টোল তুলিনা।
বিষয়টি নিয়ে সুটিয়াকাঠি ইউপি তহশিলদার বলেন, আমি এর আগেও এ সম্পর্কে অবগত হয়েছি। কাজের ব্যস্ততার কারনে যেতে পারিনি তবে শিঘ্রই বিষয়টি দেখবো।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ বশির গাজি বলেন, রাস্থা থেকে অবৈধভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের বিষয়টি ইউ এন ও মহোদয়কে অবগত করতে হবে। তবে খাল দখলের বিষয়টি আমি দেখব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারেফ হোসেন বলেন, জরুর বাড়ী বাজারে আমাদের কোন হাট নাই তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।