মোঃ আবু তৈয়ব. হাটহাজারী ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছে। বিবাদমান গ্রুপ দুটি হলো— সিক্সটি নাইন ও সিএফসি। এদের মধ্যে ‘সিক্সটি নাইন’ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারী এবং ‘সিএফসি’ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা শাহ আমানত হলের সামনে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ সন্ধ্যায়ও ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা হলেন— সিএফসি গ্রুপের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের মেরিন সাইন্স বিভাগের মো. আলী রিমন, গণিত বিভাগের রুহুল আমিন ও বাঁধন। এই চারজনই ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট মসজিদের পাশে সিএফসি গ্রুপের কর্মী মেহেদী হাসানকে সিক্সটি নাইন গ্রুপের তিন-চারজন মিলে মারধর করে। এ সময় মেহেদী দৌড়ে শাহ আমানত হলে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা জড়ো হয়ে সিক্সটি নাইনের কর্মীদের মারধর করে। এতে তিনজন আহত হয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চবি মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নিগার সুলতানা বলেন, আমাদের এখানে আহত অবস্থায় চারজনকে আনা হয়েছে৷ এদের মধ্যে একজনের মুখ, ঠোঁট, দাঁত ও পায়ে আঘাত লেগেছে। বাকিদের কোমরে, পিঠে ও পায়ে আঘাত লেগেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা বসে সমাধান করে ফেলবো।
একই কথা বললেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তবে আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।