মোঃ সজীব হাসান, বগুড়া সংবাদদাতা ঃ
বগুড়ায় অটো ভ্যান-চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে আদমদীঘি থানা পুলিশ। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার মঠপুকুরিয়া এলাকায় নিহত অটো-ভ্যান চালক শামীম হত্যার সাথে জড়িত ৪ জনকে ২৮ আগষ্ট গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, আদমদীঘির জিনুইর এলাকায় জহুরুল ইসলামের ছেলে রানা (২৫)। তাঁর দেয়া তথ্যমতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একই এলাকার বাবুল শেখের ছেলে জনি (১৯), কোমরপুর খাড়ির পাড় এলাকার জাবাইদুল ইসলামের ছেলে মিঠু (২২) এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার ঢেকুঞ্চা এলাকা থেকে শামসুল সরদারের ছেলে শাহিন (৩৫)কে গ্রেফতার করা হয়। এঘটনায় আরো ২/৩ জন হত্যার সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানায়। গত ২৩ জুন ওই হত্যাকারীরা পূর্বপরিকল্পনা মাফিক আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড ও রেল স্টেশনে মিলিত হয়ে নওগাঁ জেলার রানীনগর থানার বগারবাড়ি নামক স্থানে গিয়ে অটো চালক শামীম আলমের অটো চার্জার ভ্যান ভাড়া করে কড়ইবাজারে পৌঁছানোর পরে নশৎপুর বাজার যেতে অনুরোধ করে, এতে অটো ভ্যান চালক শামীম অস্বীকৃতি জানালে পরে আসামীরা অনুরোধ করলে শামীম যেতে রাজি হয়। পথের মধ্যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে একজন ভ্যানটি থামালে পেছন দিক থেকে একজন ভ্যান চালকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে, অন্যরা হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে অটো ভ্যান চালক শামীমের ভ্যান ও মোবাইল ফোন ২৪ জুন আসামি শাহিনের এর কাছে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এইদিকে অটো চার্জার ভ্যানচালক শামীম হত্যার ঘটনায় তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে নওগাঁর রাণীনগর থানায় ২৪ জুন এজাহার দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদমদীঘি থানার এস.আই সোলেমান আলী তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে এবং বেশ স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। পরে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্তী (বিপিএম বার) সেবা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই হত্যার রহস্য উদঘাটন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।