শামিম বিশ্বাস, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পৌরশহরে বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্যে অসহায় হয়ে পড়েছে পৌরবাসী।কুকুরের কামড়ের তাণ্ডবে ছাগলের মালিকেরা, ছোট্ট বাচ্চারা, এমন কি বয়স্ক সবাই অতিষ্ঠ্য । শহরজুড়ে যেন চলছে কুকুরেরই আধিপত্য। বেওয়ারিশ কুকুরের দল পৌরশহরের প্রধান প্রধান আবাসিক ও সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
পৌর শহরের সৈয়দ বাইতুল্লাহ নগর এলাকায় তাদের আধিপত্যের মিছিল। সেখানকার প্রায় প্রত্যেকটা বিল্ডিং এর ছাদে দেখা যায় তাদের আধিপত্য ছয়ালফ। দিনের বেলায় যখন বাসা বাড়ীর গেট খোলা হয় তখন শিরি দিয়ে ছাদের একদম উপরে চলে যায়।
অনেক সময় দেখা যায়, বাসা বাড়ীর দরোজার সামনে রাখা জুতা সেন্ডেল গুলা নিয়ে কামড়াতে থাকে, ফলে সেগুলা নষ্ট হয়ে যায়।
সারাদিন ঘরে থাকার পর, বিকালে একটু খেলা করতে বাসার নিচে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা আসলে, কুকুরের কামড় খেতে হয়। রিতি মতোই এখন বাচ্চারা কুকুর দেখলেই, খেপা কুকুর বলে ভয়ে আতঙ্কে দৌড়ে পালায়।
২৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার পৌরশহরের রেল স্টেশন থেকে কালিবাড়ি মোর, কালিবাড়ি মোর থেকে আঃ মালেক প্লাজাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ কুকুরের দল গাদাগাদি হয়ে পায়চারি করছে । অভিযোগ করে মীর মেহেদী মোজাফফর বলেন আমার ছেলেকে সঙ্গবদ্ধ কুকুরের দল কামড়িয়েছে। আমার ছেলে এখন চিকিৎসাধীন আছে।
সবজি ব্যবসায়ী আলম জানান, কিছুদিন আগে কুকুরের একটি বেপরোয়া সঙ্গবদ্ধদল তার ৭ হাজার টাকা মূল্যের খাসি ছাগল মেরে ফেলে ।এতে রাগে অভিমানে বাড়িতে থাকা অবশিষ্ট বেশকিছু ছাগল বিক্রি করে দেই।
পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের সচেতন মহলের একজন বলেন কুকুরের এ ভয়ংকর চলাফেনার বিষয়টি উত্থ্যাপন করছি। এর মধ্যে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে শহর ও গ্রামের সাধারণ মানুষও বাদ পড়েননি। ১০ থেকে১৫ জনকে কুকুর কামড়ানোর খবর রয়েছে স্থানীয় পৌরবাসীর মতে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসাধীন আছে বলে পৌরশহরের দত্ত মার্কেটের দোকান্দাররা জানান। সমগ্র পৌরশহর জুড়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধা।
পৌরসভার এক কর্মচারি জানান, কুকুরের প্রজননের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পৌর শহরসহ উপজেলাব্যাপী কুকুরের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু অমানবিক হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে সারা দেশে কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ কুকুর নিধন করতে পারছে না।
পাংশা পৌর বাসিন্দারা, পাংশা পৌর পিতা মোঃ ওয়াজেদ আলী মাস্টারের নিকটে আকুতি করে বলেছেন, দ্রুত এসব বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করে পৌরবাসীকে বাঁচান।
এ ব্যাপারে পাংশা পৌর মেয়র মোঃ ওয়াজেদ আলী মাস্টারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যোগাযোগ করা যায়নি!
এখন পর্যন্ত পাংশা পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায়, ১০ থেকে ১২ জনের দুটি বিষ দাঁত দিয়ে দংশন করেছে বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত যাদেরকে দংশন করেছে তরা হলো, মো. হারুন শেখ, গোলাপ আলী, মো. হোসেন শেখ, জোসনা বেগম, মো. লিটন শেখ, বাহার, চাঁদআলী ,সিদ্দিকুর রহমান এরা সবাই এখন চিকিৎসাধীন আছে।