মোঃ আবু তৈয়ব. হাটহাজারী ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দুই উপগ্রুপ বিজয় ও সিএফসির মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। বিবাদমাদ উভয় গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।
আহতরা হলেন, বিজয় গ্রুপের কর্মী ও দর্শন বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শরীফ খান এবং একই শিক্ষাবর্ষের সিএফসি গ্রুপের কর্মী ও ইতিহাস বিভাগের ছাত্র মো. আজিম।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে বিজয় গ্রুপের কর্মী শরিফ খানের সাথে সিএফসি গ্রুপের কর্মী ১৯-২০ সেশনের আন্তর্জাতিক বিভাগের ছাত্র ইমরানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইমরান শরীফকে মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সিএফসির আজিম নামে এক কর্মীকে শহিদ মিনারে মারধর করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সন্ধ্যায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, দুই কর্মীর মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। প্রাথমিক একটা সমাধান হয়েছে। পরবর্তীতে আরও আলোচনার মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রসংগঠন করলে শান্তি শৃঙ্খলা মেনে করতে হবে। বিশৃঙ্খলা সংগঠনের এখতিয়ারে নেই। যদিও কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
বিজয় গ্রুপের নেতা মো. ইলিয়াস বলেন, অহেতুক আমাদের এক কর্মীকে মারধর করছে সিএফসির কর্মীরা। প্রশাসনকে এ ঘটনায় জড়িত সিএফসির কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করবো।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রদের মধ্যে হালকা ঝামেলা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।
এদিকে, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার পরও সংঘর্ষ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ফেইজবুক গ্রুপে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
এক শিক্ষার্থী লিখেন, এসবের জন্যই তো ক্যাম্পাস খুলতে সরকার ভয় পায়। পরীক্ষা কেন্দ্র করে হল দখল নিয়ে না তো?
আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, অনেকদিন করোনার জন্য বন্ধ ছিলো। তাই আগের পার্ফমেন্স ঠিক ঠাক আছে কিনা পরিক্ষা করে দেখছে। সামনে তো ভার্সিটি খুলবে