1. boyd94289@gmail.com : Ayon Islam : Ayon Islam
  2. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  3. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  4. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
  5. bangladeshbulleting646@gmail.com : Sohel Desk : Sohel Desk
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ন

আশুলিয়ায় কলেজ অধ্যক্ষের খন্ডিত লাশ উদ্ধার,আটক ৩

  • সময় : সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১
  • ২৬০

সোহেল রানা,সাভার(ঢাকা):

সাভারের আশুলিয়ায় একটি প্রাইভেট কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৬) কে তার দুই শিক্ষক বন্ধু মোতালেব ও রবিউল ক্লাসরুমে হত্যার পর ৬ টুকরো করে স্কুলের উঠানে পুতে রাখে। এঘটনায় নিহতের বন্ধু মোতালেব ও রবিউলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। স্কুল থেকে লাশের ৫ টি অংশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব আর মাথা আশকোনার একটি ডোবা থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সোমবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার রুপায়ন স্বপ্ন নিবাস আবাসনের সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আঙ্গিনা থেকে পুতে রাখা লাশের ৫ টুকরা উদ্ধার করে র‌্যাব।

এর আগে গত ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) আশুলিয়ার নরসিংহপুর সংলগ্ন বেরন এলাকার রূপায়ন মাঠের নিজ বাসা স্বপ্ন নিবাস থেকেই নিখোঁজ হন মিন্টু চন্দ্র বর্মণ।

নিখোঁজ মিন্টু চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শর্ত বর্মনের ছেলে। তিনি অনেক মেধাবী ও সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) আশুলিয়ার জামগড়া সংলগ্ন বেরন এলাকার রূপায়ন মাঠের নিজ বাসা স্বপ্ন নিবাস থেকেই নিখোঁজ হন মিন্টু চন্দ্র বর্মণ। এর পর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। দীর্ঘ ৭ দিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে অবশেষে ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মিন্টুর ছোট ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ। পরে ৯ আগস্ট ছায়া তদন্ত করে তিনজনকে গ্রেফতার করে লাশের লোকেশন শনাক্ত করে র‌্যাব। পরে বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে অভিযান পরিচালনা করে লাশের ৫ টুকরো উদ্ধার করা হয়।

নিহতের ভাই দীপক চন্দ্র বর্মন জানান, তার ভাই মিন্টু চন্দ্র বর্মণ দুই বন্ধু মিলে প্রায় দুই বছর আগে সাভারের আশুলিয়ায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। যার নাম দেন সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ। যার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন মিন্টু। কিন্তু হঠাৎ ভাই উধাও হয়ে যায়। আজ শুনি ভাইয়ের বন্ধুরাই তাকে হত্যা করেছে। আমি উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।

স্কুলের এক শিক্ষার্থী সনেকা বেগম জানান, মিন্টু স্যার অনেক ভাল ছিল। তিনি অনেক ভদ্র ছিলেন। মোতালেব ও রবিউল স্যারও অনেক ভাল ছিলেন। তারা এই কাজ করতে পারেন এটা বিশ্বাসই হচ্ছে না। এমন স্কুলে আর পড়াবো না। আমরা এখন অনেক আতঙ্কে রয়েছি।

র‌্যাব সদর দফতরের মিডিয়া উইয়ং এর কমান্ডার মঈন খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রথমে ৭ জুলাই মিন্টুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে ১৩ জুলাই স্কুলটিতে কোচিং পরবর্তী সময়ে ১০৬ নম্বরে মিন্টুকে ডেকে নিয়ে যায় বাদশা ও মোতালেব। এসময় মিন্টুর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে বাদশা আঘাত করে। পরে ৬ টুকরো করে মাথা রাজধানীর আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয়। বাকি ৫ টুকরো স্কুলের আঙ্গিনায় পুতে রাখে তারা।

তিনি আরও বলেন, মিন্টু বর্মণের সুনাম ও খুব ভাল শিক্ষক হওয়ায় পেশাগত হিংসা শুরু করেন গ্রেফতারকৃতরা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ নিয়েও তাদের মধ্যে মনমালিন্য ছিল। এর জের ধরেই তাকে হক্যা করে তারা। এর পর থেকেই রবিউল পলাতক ছিল। গত মধ্যরাতে রবিউলকে আব্দুল্লাপুর থেকে, তার ভাগিনা বাদশাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে আর মোতালেব কে আশকোনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রবিউলের দেওয়া তথ্যমতে স্কুলের আঙ্গিনা থেকে মিন্টুর শরীরের ৫ টি খন্ডিতাংশ উদ্ধার করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪