ফরিদুল ইসলাম রানা
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
বুড়িমারী স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের দ্বি- বার্ষিক সম্মেলনে মোতাহার হোসেন এমপি কে প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা পরিষদর চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান,
সাবেক সংসদ সদস্য
হাসানুজ্জামান হাসান,
পাটগ্রাম পৌরসভার মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট,
পাটগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন লিপু, সাবেক চেয়ারম্যান বুড়িমারী ইউপি
মুছা আলী কে উপদেষ্টা করে ১৭ জন লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীর মধ্যে ১২ জনের সম্মতিক্রমে
নব-নির্বাচিত সভাপতি মোঃ ছায়েদুজ্জামান ছায়েদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান সোহাগকে বুড়িমারী স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
বুড়িমারী স্থলবন্দর বাংলাদেশের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর যেখান থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। নব- নির্বাচিত সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সু- পরিকল্পিত প্লানের মাধ্যমে আমদানি -রপ্তানিকারদের এতোদিনের নানান অসুবিধা দূর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ীরা।
এ সময় বক্তারা তাদের দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ প্রকাশ করার মাধ্যমে বক্তব্য শুরু করেন।
ব্যবসায়িদের একজন বলেন, বাবুল মিয়া সব ধরনের কমিটির মোড়ল হতে চান। তার যেন, সব কমিটির সভাপতি হতেই হবে। এটা কোন কথা হতে পারে না।
অন্য আর একজন বলেন, পকেট কমিটি দিয়ে নিজেরই কেবল পকেট ভারী হয়েছে দীর্ঘ ১২ বছর। তিনি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়িক সুযোগ নিয়েছে দীর্ঘ মেয়াদি। এখনই সময় জেগে উঠার তা না হলে ভয়াবহ পরিনতি হতে বেশিদিন নেই।
শুধু কি বুড়িমারীতে পাথর আসবে তা কখনো হতে পারে না।এদিক দিয়ে মশলা, জিরা সহ নানান ব্যবসা চলা শুরু করেছিল এটিকে শুধু নিজের পকেট ভারী করতে রুহুল আমিন বাবুল বন্ধ করে সিন্ডিকেট করে দিয়েছে। যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী তারা এখন মাঠে নেই।
তরুন ব্যবসায়ীর একজন বলেন,নতুন ভাবে কেউ এলসি দিলে কাগজ পত্রের জন্য সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হতে হয় যেটি আমাদের জন্য লজ্জার।
নব- নির্বাচিত সভাপতি বলেন,অবৈধ সিন্ডিকেটকে ভেঙে দিতে হবে, অধিকার আদায়ে প্রয়োজনে হকি স্টিক ব্যবহার করে দালালদের নির্মূল করতে হবে।
নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বলেন, যার যে জায়গা সেখানে থেকে কাজ করতে হবে। দীর্ঘ ১২ বছর পকেট কমিটি করেছেন রুহুল আমিন বাবুল । তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি শুধু নিজের কথাই বুঝেন। নিজের সার্থ হাসিল করতে জানেন। একজন এমপি বড় নাকি একজন উপজেলা চেয়ারম্যান? তিনি সব যায়গায় মোড়ল হতে পারেন না।
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে পোর্টে কোন শ্রমিকের জন্য কি এক মুঠো খাবার তুলে দিয়েছেন দেন নি। তাহলে কিসের জন্য তিনি সভাপতি।
অন্য একজন ব্যবসায়ী বলেন,দলীয় নাম ভাঙ্গীয় বুড়িমারীতে আর কোন দালালী করার সুযোগ দেয়া হবে না ।যারা এরকম কাজ করে তাদের শিকড় তুলে দিতে হবে।
সাবেক কয়েকজন নেতৃত্বদানকারী বলেন, আমরা আর জিম্মি থাকতে চাই না। আমরা ব্যবসা করি সেটার দালালমুক্ত সুন্দর পরিবেশ চাই।
নব-নির্বাচিত সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যাবসায়ী হওয়ায় বাকি সিএন্ডএফ এজেন্ট গুলো আস্থা রাখে তাদের প্রতি।
এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল সহ গণমাধ্যমের কর্মীরা।