মোঃ রেজাউল হাসান সুমন, নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদনের ৬ নং তিয়শ্রী ইউনিয়নের শিবপাশা গ্রামে ২২ জুন বাড়ি সীমানা নিয়ে কারী মিয়ার সাথে পাশের বাড়ির আবুল মিয়ার( ৫০) সিমানা নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে কারী মিয়া গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও লুটপাট হয় , ফারুক মিয়া বাদী হয়ে, মদন থানা ভাঙচুর ও লুটপাটের একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায় ২ দুই কোটি ৫৯ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার মালামাল ভাঙচুর ও লুটপাট করে, নিহত কারি মিয়া লোকজন।
আজ ৭ আগস্ট রোজ শনিবার শিবপাশা গ্রামের ভাঙচুর ও লুটপাটের মালামাল ট্রলারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় মাখনা কবির খা বাড়ির সামনে এ এস আই চিত্তরঞ্জন মালামালসহ ট্রলারটি আটক করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উক্ত ট্রলারে মাঝি সহ তিনজনকে পুলিশ আটক করে ট্রলারসহ থানায় নিয়ে আসেন,আটককৃতরা হলেন ইটনা থানার চৌগাছা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে, জয়নাল (৩৫) আক্তু মিয়ার ছেলে, ফরিদ (৪০) আবুল কালামের ছেলে বিপুল ( ৫০), মাখনা গ্রামের নাম বলতে অনিচ্ছুক , তারা বলেন , এ ট্রলারটি প্রতিদিন ভাংচুরের মালামাল নিয়ে যায়।
আটককৃত ট্রলারের মাঝি জয়নাল বলেন, আমি ভাঙ্গারি মালের ব্যবসা করি, উক্ত মালামাল শিবপাশা গ্রামের লাট মিয়া আমার কাছে বিক্রি করেছে , সেই মাল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাকে ট্রলার সহ আটক করেছে, এর বেশি আমি কিছু জানিনা।
লুটপাটে মালামাল বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে ,লাট মিয়ার চাচা ইব্রাহিম বলেন, লুটপাটের মালামাল বিক্রি এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।
মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, কারি মিয়া সংঘর্ষে নিহতের ঘটনা কে কেন্দ্র করে, লুটপাটের কিছু মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।