সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান:
রাজশাহীর তানোরে সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ (৪০) নিহত হয়েছে। নিহত আরিফ তানোর পৌরসভার রাইতান বড়শো গ্রামের বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রহিম মোল্লার পুত্র। জানা গেছে, ৬ আগস্ট শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে
কালীগঞ্জ বাজারের আলমগীর নামের এক ব্যাক্তির পালসার মটর সাইকেলে নিজ বাড়ীতে ফিরছিলেন আরিফ। তবে আকচা মোড়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা দিলে ঘটনা স্থলেই আরিফের মৃত্যু হয়। আরিফকে সেখানে রেখেই চালক আলমগীর পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপণ করে। স্থানীয়রা রহস্যজনক এই সড়ক দুর্ঘটনার অধিকতর তদন্ত দাবি করেছে।
এদিকে আরিফের মৃত্যু নিছক সড়ক দুর্ঘটনা না পরিকল্পিত হত্যা তা নিয়ে জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন। অসমর্থিত একাধিক সুত্র জানায়, কালীগঞ্জহাটের মেসার্স জুঁই বেকারীতে একাধিকবার ভ্রাম্যমান অভিযান করা হয় এর পর থেকে বেকারী মালিক জাহাঙ্গীর আলম ক্ষুব্ধ আরিফের ওপর, সে তার ছোট ভাই আলমগীরকে দিয়ে আরিফের প্রাণনাশ করাতে পারে। সুত্রের ভাষ্য মোটা দাগে বেশ কয়েকটি ঘটনা তাদের কাছে সন্দেহজনক প্রথমত গভীর রাতে ফাঁকা রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাইকের ধাক্কা
লাগা, দ্বিতীয়ত গাছের সঙ্গে
বাইকের ধাক্কা লাগলেও চালকের কোনো ক্ষতি না হয়ে আরোহীর মৃত্যু, তৃতীয়ত দুর্ঘটনায় পড়লে মানুষের সাহায্য নেয়া অথচ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বরং কারো সাহায্য না চেয়ে আরোহীর মৃত দেহ রেখে চালকের পালিয়ে আত্মগোপণ ইত্যাদি কারণে আরিফের মৃত্যু জনমনে নানা প্রশ্নের সৃস্টি হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এবিষয়ে তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও জুঁই বেকারী মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও তার ছোট ভাই আলমগীর হোসেনের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।