বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। আজ ২২ জুন সোমবার সকালে বরিশাল মহানগরীতে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন এর যৌথ অভিযানের দেশের নামি-দামি কোম্পানির নকল স্যানিটাইজার বিক্রয় করার সময় তা জব্দ করা হয়।
বরিশাল নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড গীর্জা মহল্লা এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান। বরিশালের বাজারে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির নাম বিকৃত করে (এসিআই কে এজিআই; ওরিয়ন কে ওরিওনা, হেক্সিসল কে হেক্সিসলি, হেক্সিওল কিংবা হেক্সাসল, স্যাভলন কে স্যাবরন কিংবা স্যাবলন ইত্যাদি) বিভিন্ন প্রকার নকল স্যানিটাইজার ও ডিজইনফেক্টেন্ট সামগ্রী অবাধে বিক্রি হচ্ছে যা প্রতিরোধে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ নগরীর গির্জা মহল্লা ও চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় নকল এসব ঔষধ সামগ্রী বিক্রির অপরাধে ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০ এর ধারা ১৮ ভংগের অপরাধে বিভিন্ন অংকের ৭ জন ব্যক্তিকে ২৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি অভিযানে সজল জমাদ্দার রাজিব (৩৪) ও মোস্তফা কামাল (৩০) নামক দুজন ব্যক্তিকে একই আইনে ১ বছর করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জানা যায় যে, রাজিব ও কামালই মূলত বরিশালে এসব নকল হেক্সিসল ও স্যানিটাইজার সামগ্রীর যোগানদাতা তারা ঢাকা থেকে এসব সামগ্রী কুরিয়ারে কিংবা লঞ্চে পরিবহন করে নিয়ে আসেন।
ঢাকার মিটফোর্ড এলাকা থেকে রাকিব (২৫) নামের এক ব্যক্তির সাথে যোগসাজশে তারা এ কাজটি করে থাকেন। এসময় প্রায় ১ লক্ষ টাকার নকল ঔষধ জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়। অভিযানে প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বরিশালের ড্রাগ সুপার অদিতি স্বর্ণা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম।