নরসিংদীর পলাশে ঘুড়ি খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ১২ টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে নগদ প্রায় ১৫ লাখ টাকাসহ মালামাল লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় বাধা দিতে গিয়ে ৭ জন আহত হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সরেজিমনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার বিকালে ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে ফাহিম মিয়া (২০) ও একই গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে সিয়াম মিয়া (২১) ঘুড়ি উড়াতে বাড়ির পাশের একটি মাঠে যায়।
সেখানে ঘুড়ি উড়ানোর এক পর্যায়ে ফাহিম মিয়ার ঘুড়িটি ছিড়ে ফেলেন সিয়াম মিয়া। এ নিয়ে ফাহিম ও সিয়ামের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে ফাহিম মিয়া গিয়ে ইমন মিয়া নামে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতার কাছে বিচার দিলে শনিবার রাত ৯টার দিকে ইমন মিয়ার নেতৃত্বে বেলায়েত হোসেন, মামুন মিয়া ও রাজু মিয়াসহ ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গালিমপুর গ্রামে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা ১২টি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও ¯^র্ণ অলংকার সহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এসময় বাধা দিতে গিয়ে পারুল বেগম, হামিদা বেগম, ইসমাইল মিয়া,গাফফার, আবুল বাশার ও পরিমুন সহ ৭ জন আহত হন। আহতরা ডাঙ্গার উপ¯^াস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যান। ভুক্তভোগি পারুল বেগম জানান, ফাহিম মিয়া ও সিয়াম মিয়ার ঘুড়ি খেলা নিয়ে মারামারির ঘটনায় ইমন মিয়ার নেতৃত্বে বেলায়েত, মামুন ও রাজু মিয়াসহ ৫০ থেকে ৬০ জনের একদল সন্ত্রাসী আমাদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
অথচ আমাদের সাথে ইমন বা ফাহিমের পূর্বে কোনো বিরোধ ছিল না। এ বিষয়ে ইমনের মুঠোফোনে কল দিলে এনামুল নামে ইমনের ভাই পরিচয়ে ফোনটি রিসিভ করে বলেন, আমাদের বাড়ির পাশেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে আমার ভাই জড়িত আছে কি না জানি না। ডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সাবের উল হাই জানান, ঘটনাটি শুনেছি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঘটনাস্থলে যেতে পারি-নি। ঘটনার সত্যতা ¯^ীকার করে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ূন কবির জানান, ঘুড়ি খেলাকে কেন্দ্র করে বাড়িঘরে হামলার খবরটি পাওয়া মাত্র ডাঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জকে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে ভুক্তভোগি পরিবার গুলোকে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।