বরিশাল নগরীর আহম্মেদ মোল্লা সড়কের হুমা গ্রুপের উত্যক্ত, অত্যাচার, মাদক ব্যবসা পরিচালনা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ২৫ নং ওয়ার্ডবাসী। হামলা-মামলা ও নির্যাতনের ভয়ে কেউই মুখ খুলতে চায়না স্থানীয় হুমায়ুন সিকদারের পরিচালিত হুমা গ্রুপের বিরুদ্ধে।
এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বাচঁতে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী পরিবাররা। আজ রোববার (২১ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে হুমা গ্রুপের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগরীর আহম্মেদ মোল্লা সড়কের বাসিন্দা জাকির হোসেন। এসময় ওই এলাকার কামরুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, হাফেজ ফজলুল হক, ফোরকান, রহিম খান সহ ২০/২৫ জন ভূক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ রুপাতলীর ২৫ নং ওয়ার্ডের আহম্মেদ মোল্লা সড়কে চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, জুয়া মাদকের মত ঘটনার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে দুই ভাই মোঃ রাকিব সিকদার ও মোঃ রাতুল সিকদার ।
রাকিবের নেতৃত্বে ওই এলাকায় প্রতিনিয়তই জুয়া ও মাদকের হাট বসে। এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে অপমান, অপদস্ত, এমনকি হত্যার হুমকী প্রদান করা হয়। সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী রাকিবের ছোট চাচা হুমায়ুন সিকদার স্থানীয় এক কথিত নেতা’র পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে চলছে। এই হুমায়ুন সিকদার এর বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে বলে জানান জাকির হোসেন। বেশ কিছুদিন পূর্বে এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে লাঞ্চিত করা হয় স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ার বারেক হাওলাদার ও তার পরিবারকে।
সন্মান হারানোর ভয়ে এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছেনা। স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ কামরুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে তাকে হত্যার উদ্যোশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাকের উপর আঘাত করে। একই সাথে তার দোকানের টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় মোঃ কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৫ই জুন শুক্রবার বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার ঘটনায় কোতয়ালী থানা পুলিশ এলাকায় আসলে সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় তিনি আরো বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, ধারনা করছি এই সংবাদ সম্মেলন করার পর সন্ত্রাসী বাহীনি আমাদের উপর হামলা এমনকি হত্যাও করতে পারে।
তারপরও নিজেদের জীবনের বাজী রেখে আমরা ২৫ নং ওয়ার্ড রুপাতলীর আহম্মেদ মোল্লা সড়কের বাসিন্দারা আমাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমরা বরিশাল সিটি কপোরেশনের মাননীয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র সহযোগীতা ও তার দৃষ্টি আকষর্নের পাশাপাশি আইনশৃংখলা বাহিনী সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মামলার তদন্তকারী বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার এসআই ( নিরস্ত্র) মো: মেহেদি হাসান জানান, মামলাটি দায়ের করার পর তদন্ত প্রক্রিয়াধীন ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের নাম ও অবস্থানসহ বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।