আফ্রিদা জাহিন, রংপুর:
রংপুরের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য ১২ ঘন্টা সময় চেয়েছেন রসিক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। ঈদের প্রথম দিনে ১২ ঘণ্টার মধ্যে নগরীর বর্জ্য অপসারণ করে পরিচ্ছন্ন রংপুর নগরী উপহার দিতে চেয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, রংপুর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। সিটি করপোরেশন থেকে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোরবানির পশুর বর্জ্য সংগ্রহে প্রত্যেক বাড়িতে ট্রলি ও রিক্সাভ্যান যাচ্ছে। এখন আমাদের দায়িত্ব যত্রতত্র কোরবানির পশুর বর্জ্য না ফেলা।
বুধবার (২১ জুলাই) দুপুরে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের সাথে কথোপকথনে বর্জ্য অপসারণের জন্য ১২ ঘণ্টা সময় চান রসিক মেয়র।
এছাড়াও সিটি মেয়র বলেন, নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ১১৭টি স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্ধারিত স্থানগুলো ছাড়া যাতে কেউ উন্মুক্ত স্থান ও সড়কের উপর পশু জবাই না করে এজন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে। লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হয়েছে। আমরা চাই নগরবাসীকে ঈদের দিনেই পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীদের সহায়তা করা।
তিনি আরও বলেন, পশু কোরবানির পর বর্জ্যের দুর্গন্ধ রোধে ব্লিচিং পাউডারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছ। সবাই সচেতন হলে ২৪ ঘণ্টা নয় ১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব। এজন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। সকলের প্রতি আহ্বান- যেখানে সেখানে পশুর বর্জ্য না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলুন। আমাদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ১২ ঘন্টার মধ্যে তা অপসারণ করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের সচিব মো: রাশেদুল হক, প্যানেল মেয়র মাহামুদুর রহমান টিটু, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুবার রহমান মঞ্জু, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বিভাগের (কঞ্জারভেন্সী শাখা) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজু, শাহিনুর রহমান শাহিন, হাসান রাফি সহ অনেকে।
এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অঞ্চল-১) মিজানুর রহমান মিজু সাংবাদিকদের জানান, ঈদের দিন কোরবানির পশুর ২০০ টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বেলা দু্ইটা থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করে নির্দিষ্ট স্থানে ডাম্পিং করা হবে।
তিনি আরও জানান, সিটির ১০৩৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিনটি জোনে বিভক্ত হয়ে বর্জ্য অপসারণ কাজ করছে। এতে ১২০টি ট্রলি ও রিক্সাভ্যান এবং ২৯টি ডাম্প ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে হুয়িল লোডার, ব্যাকো লোডার, স্প্রীড লোডার, স্কাবেটর ও পানিবাহী গাড়ি রয়েছে। তিন জোনে মনিটরিং টিম এসবের দেখভাল করছে।