ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে আনু হত্যার ৪ বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে সিআইডি পুলিশ। এ মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় সোপর্দ করা হয়েছে। নিহত আনু উপজেলার ভালকী গ্রামের মৃতঃ জবেদ আলীর ছেলে।উল্লেখ্য, গত ০৩/০২/২০১৬ ইং তারিখে আনোয়ার হোসেন আনু কে হাত পা বেধে জবাই করে গ্রামের মাঠের ভিতর রেখে যাই দূর্বৃত্তরা।
ঘটনার পরের দিন নিহত আনুর স্ত্রী বিউটি খাতুন বাদী হয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় সন্ধিগ্ধ ও অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দায়ের করেন। যার মামলা নং- ০৩,তারিখ ০৪/০২/২০১৬, ধারা ৩০২/৩৪, পেনাল কোড। মামলার তদন্ত শেষে ২০/০৮/২০১৭ তারিখে হরিনাকুন্ডু থানার এসআই আসাদুজ্জামান বিজ্ঞ আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট (এফ,আর,টি) দাখিল করেন।যার নং-২৩ তারিখঃ ২০/০৮/২০১৭ ধারা ৩০২/৩৪দন্ডবিধি। বাদী নারাজী দিলে বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে মামলাটি পুন:তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়।
এদিকে পিবিআই এর এস,আই ইসমাইল হোসেন এ মামলার তদন্ত শেষে ২৮/০৪/২০১৯ তারিখে হরিনাকুন্ডু থানার সম্পূরক চূড়ান্ত রিপোর্ট (এফ,আর,টি) দাখিল করেন। যার নং-২৩ (ক), ধারা- ৩০২/৩৪দন্ডবিধি। পুনরায় বাদীর নারাজির প্রেক্ষিতে ০৫/০৯/২০১৯ তারিখে মামলাটি আবার পুনঃতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সি,আই,ডি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। সি,আই,ডি থেকে মামলাটির তদন্তভার ১৯/১২/২০১৯ তারিখে এস আই মাসুদ রানাকে দেওয়া হয়।
সিআইডি‘র এস আই মাসুদ রানা গোপনে ও প্রকাশ্যে মামলার তদন্ত পরিচালনা করে মামলার রহস্য উদঘাটন সহ, এ মামলার ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের নিকট সোপর্দ করেছেন।এ ঘটনায় এসআই মাসুদ রানা জানান, বিজ্ঞ আদালত সি,আই,ডি বরাবর গত ০৫/০৯/১৯ইং তারিখে মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দেন।এরপর গত ১৯/১২/১৯ইং তারিখে তাকে তদন্তভার দেয়া হয়। তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত করে গোপনসূত্রে সে রহস্য উদঘাটন শুরু করে। এরপর মামলার সন্দিগ্ধ আসামিকে ধরার জন্য সোর্স নিয়োগ করে এবং সহকর্মী এস আই সেলিম রেজাকে সাথে নিয়ে আসামীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখেন।
গত ইং১৭/০৬/২০২০ তারিখে মামলার সন্দিগ্ধ আসামি সাহেব আলী (৫০) কুষ্টিয়া জেলার ঝাউদিয়া বাজার নামক স্থানে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখান থেকে ১৭/০৬/২০২০ আনুমানিক বিকাল ৪টায় তাকে গ্রেফতার করেন। আসামি সাহেব আলী উপজেলার কিসমত ঘোড়াগাছা গ্রামের মৃতঃ নফর আলী মন্ডলের ছেলে। বর্তমান ঠিকানা, গ্রাম-উদয়পুর, থানাঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জেলাঃ কুষ্টিয়া।গ্রেফতারকৃত আসামি সাহেব আলী বিজ্ঞ আদালতের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত এবং জড়িত আরও কয়েকজনের নাম উল্ল্যেখ করেন।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বলা মতে সহযোগি আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ পরিদর্শক তোফাজ্জেল হোসেন এর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ১৮/০৬/২০২০ইং তারিখ রাতে হরিনাকুন্ডু উপজেলার কিছমত ঘোড়াগাছা গ্রামের মৃতঃ আবুল মিয়ার ছেলে শাহিন কবির ঝলক (৩৮), ও ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে রাশিদুল ইসলাম কুটি (৪৩) কে তাদের নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।তদন্ত অব্যাহত আছে বলে এ মামলার তদন্তকারী সি,আই,ডি অফিসার মাসুদ রানা জানিয়েছেন।