1. tanvirinternational2727@gmail.com : NewsDesk :
  2. hrbangladeshbulletin@gmail.com : News Room : News Room
  3. 25.sanowar@gmail.com : Sanowar Hossain : Sanowar Hossain
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালি থেকে উদ্ধারকৃত সেই তক্ষক (হক্কে) তালতলী টেংরাগিরি বনে অবমুক্তি

  • সময় : শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০২০
  • ৩১৯

পটুয়াখালি হতে উদ্ধারকৃত তক্ষক বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেলে টেংরাগিরি বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে।টেংরাগিরি বিট কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, উদ্ধার হওয়া তক্ষক টি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তরের পর সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তা এই কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হয়।

কি এই তক্ষক (হক্কে)?তক্ষক (Gecko) Lacertilia বর্গের Gekkonidae গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতি। দেখতে টিকটিকির আকৃতির হলেও আকারে কিছুটা বড় হয় এই প্রাণীটি।পিঠের দিক ধূসর, নীলচে-ধূসর বা নীলচে বেগুনি-ধূসর। সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা। পিঠের সাদাটে ফোঁটাগুলি পাশাপাশি ৭-৮টি সরু সারিতে বিন্যস্ত।কমবয়সী তক্ষকের লেজে পরপর গাঢ-নীল ও প্রায় সাদা রঙের বলয় রয়েছে। মাথা অপেক্ষাকৃত বড়, নাকের ডগা চোখা ও ভোঁতা। চোখ বড় বড়, মণি ফালি গড়নের। লেজ সামান্য নোয়ানো। দৈর্ঘ্য নাকের ডগা থেকে পা পর্যন্ত ১৭ সেমি এবং লেজও প্রায় ততটা।তক্ষকের ডাক চড়া, স্পষ্ট ও অনেক দূর থেকে শোনা যায়।

সতন্ত্র শব্দে ডাকের কারণে ‘প্রকৃতির ঘড়ি’ হিসেবেও পরিচিত তক্ষক।ডাকের জন্যই প্রাণীটির এই নাম। ‘কক্‌কক্‌’ আওয়াজ দিয়ে ডাক শুরু হয়, অতঃপর ‘তক্‌-ক্কা’ ডাকে কয়েক বার ও স্পষ্টস্বরে। এরা কীটপতঙ্গ, ঘরে থাক টিকটিকি ছোট পাখি ও ছোট সাপ খেয়ে থাকে। ছাদের পাশের ভাঙা ফাঁক-ফোঁকড় বা গর্তে অথবা গাছে বাস করে।বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস, কাম্পুচিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬০০ প্রজাতির তক্ষকের বাস।ব্যাপক নিধন আর পাচারের কারণে আজ এই প্রাণীটি বিপন্ন প্রায়।

অনেকে ভুলক্রমে তক্ষককে বিষাক্ত সরীসৃপ হিসেবে চিহ্নিত করে। দেশী চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় তক্ষতের তেল।একবিংশ শতাব্দির এ যুগে এসেও প্রকৃতির ঘড়ি তক্ষক নিয়ে রীতিমতোন হৈ-চৈ পড়ে গ্রাম-গঞ্জে।

কথিত আছে, এক একটি তক্ষকের মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।এক সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলত তক্ষক নামের এই প্রাণীটি। স্থানীয় ভাষায় ‘হক্কে’ নামে যার বেশি পরিচিতি।সূত্র মতে, এক সময় ম্যাগনেটের(পিলার) পিছু ছুটে অসংখ্য মানুষ তার সর্বস্ব হারিয়েছে। আর এখন ছুটছে তক্ষক (হক্কে) পিছনে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের অন্যান্য খবর
©বাংলাদেশবুলেটিন২৪