হাদী চকদার, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার(১৫ জুন) ভোরে মির্জাপুর এবং সখীপুর উপজেলা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সখীপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের বাজাইল বড়চালা গ্রামের টেংগু সরকারের ছেলে দিনা সরকার (৩০), নারায়ন চন্দ্র সরকারের ছেলে মন্টু সরকার (৩২)।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, থানায় মামলা দায়েরের পর আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় পলাতক সবদুল মিয়াকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বুধবার(১৬ জুন) টাঙ্গাইল আদালতে তোলা হবে।
এদিকে ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ইউনিয়নের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ইউনিয়নের যুগ্ম-আহ্বায়ক রতন কুমার রায়, বিশ্বজিৎ কোচ, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের সভাপতি জন যেত্রা, অন্যন্যা রায় প্রমুখ।
মানবন্ধনে বক্তারা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রæত বিচারের দাবি করেন। একই সাথে সকল আসামীদের গ্রেফতারের দাবি করেন। গণতান্ত্রিক দেশে এমন মধ্যযুগীয় জগন্যতম ঘটনা স্বাধীন দেশে কখনো কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুন রাত পৌনে একটার দিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ওই নারীর বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে দিনা সরকার মন্টু সরকার এবং সবদুল মিয়ার সহযোগিতায় ধর্ষণ করে এবং কামড়িয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ১৩ জুন ওই নারী বাদি হয়ে থানায় ৩ জনেক আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে ওই নারী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।