আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য রব্বিল শেখ ও মূলহোতা ইউসুফ মিয়াকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।র্যাব জানায়, সম্প্রতি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আজিজুল হকের দুই মেয়ে কুলসুমা আক্তার (২২) ও সুমাইয়া আক্তার (১৯) মানবপাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার হয়। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর ময়মনসিংহ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও আসামীদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে। ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ স্থানীয় কিছু ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়, বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে স্বামী ইউসুফ ও তার কয়েকজন সহযোগী। এ বিষয়ে গত ৫ জুন গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় একটি মানবপাচার মামলা রুজু হয়। এ ঘটনার পর র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ ছায়া তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারে, ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ঈশ্বরগঞ্জের বালিহাটা কান্দাবাড়ি গ্রামের মো. ইউসুফ মিয়া (৩২) গফরগাঁওয়ের কুলসুমা আক্তারকে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে মানবপাচারকারী চক্রের সহযোগিতায় কথিত নিজ স্ত্রী ও শ্যালিকাকে অর্থের বিনিময়ে ভারতে পাচার করে দেয়।র্যাবের মিডিয়া অফিসার সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অভিযান পরিচালনা করে আসামি ইউসুফ মিয়াকে ঈশ্বরগঞ্জের বালিহাটা কান্দাবাড়ি এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে মানবপাচারকারী চক্রের অপর একজন সক্রিয় মূলহোতা রব্বিল শেখকে শ্রীপুর থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার চারশত পাঁচ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পাচারকারীদের অন্যতম মূলহোতা রব্বিল শেখের বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, যা মানবপাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত।ভিকটিমদের ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারী সংস্থার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।