ডেস্ক নিউজ:
নিখিলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই নীরবতা ভাঙলেন নুসরত জাহান। নিখিলের সঙ্গে বিয়ে করেননি বলেই বিস্ফোরক দাবি তাঁর। বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি জানান, লিভ-ইন সম্পর্ক ছিল তাঁদের। তাহলে বারবার মৌলবাদীদের রোষের শিকার হওয়া সত্ত্বেও কেন শাঁখা, সিঁদুর পরে ঘোরাফেরা করতেন নুসরত, উঠছে সেই প্রশ্ন।
ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার খবর শোনামাত্রই সামনে আসে নুসরতের বিয়ের খবর। গত ২০১৯ সালে ঘটা করে তুরস্কে চার হাত এক হয় দু’জনের। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা।
নির্বাচনে জয়ের পর লোকসভায় প্রথমবার সিঁদুর পরে দেখা যায় নুসরতকে। সেই বিয়েকেই অস্বীকার করলেন তারকা সাংসদ। বিবৃতিতে অভিনেত্রী-সাংসদের বিস্ফোরক দাবি, নিখিল জৈনের সঙ্গে লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলেন তাঁরা। বিয়ে করেননি। তুরস্কের আইন অনুযায়ী, তাঁদের বিয়ে বৈধ নয় বলেও বিবৃতিতে দাবি নুসরতের। তাই বিবাহ বিচ্ছেদের কোনও প্রশ্ন ওঠে না।
কিন্তু অতীত ঘটনাক্রমের সঙ্গে নুসরতের বর্তমান বিবৃতির কোনও যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, তুরস্কে বিয়ে, কলকাতায় গ্র্যান্ড রিসেপশন করেছিলেন তিনি।
বসিরহাট থেকে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবার লোকসভায় সিঁদুর পরে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল।
মুসলমান পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও সিঁদুর পরায় মৌলবাদীদের রোষানলে পড়েন তারকা সাংসদ। সেই সময় নিজেকে নিখিল জায়া হিসাবেই দাবি করেছিলেন তিনি। এরপর কলকাতায় ইসকনের রথের রশি টানা নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। অষ্টমীর অঞ্জলি হোক কিংবা দশমীর সিঁদুরখেলা-সর্বত্র নিখিল জৈনের পাশে শাঁখা, সিঁদুর-সহ পতিব্রতা নারীর মতো উপস্থিত থাকতেন তিনি।
এছাড়া করবা চৌথ পালন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে আচমকা কেন এমন বিস্ফোরক বিবৃতি দিলেন নুসরত। হিন্দু শাস্ত্র মতে, বিবাহিত মহিলারাই সাধারণত শাঁখা, সিঁদুর পরেন। নুসরত যে চূড়া পরতেন তাতেও লেখা ছিল, Nঅর্থাৎ নিখিল জৈন। জনসমক্ষে একাধিকবার নিখিলকে নিজের ‘স্বামী’ বলেই সম্বোধন করেছেন তিনি। নুসরতের সমস্ত ব্যক্তিগত নথিতেও স্বামী হিসাবে নিখিলের নাম রয়েছে। গাঁটছড়া যদি নাই বেঁধে থাকেন, যদি লিভ ইন সম্পর্কেই ছিলেন, কেন তাহলে শাঁখা-সিঁদুর পরলেন? কেনই বা ব্যক্তিগত নথিতে স্বামী হিসাবে নিখিলের নাম রইল? সবটাই কি তাহলে মিথ্যে? দাম্পত্য জীবন ও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নেহাতই তাঁর কাছে ‘খেলা’? নুসরতের নয়া বিবৃতিতে তাঁর ব্যক্তিত্ব নিয়ে এমনই সমস্ত প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে।