নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিলেট জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিমা কুমকুমের স্বামী, শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকিরুল আলম জাকিরকে বিদেশী রিভলবার, গুলি ও মাদক সহ গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৯। আজ সোমবার (৩ মে ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এসএমপির এয়ারপোর্ট থানাধীন মালনীছড়া চা বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারকৃত জাকির এসএমপির মোগলাবাজার থানার কুচাই ইউনিয়নের কুচাই গ্রামের মৃত সাজ্জাদ মিয়ার পূত্র। ইতিপূর্বে র্যাব-পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল সে। তার বিরুদ্ধে রাজনীতিক আশ্রয়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ব্ল্যাকমেইলিং, টাউটামী, বাটপারী, নারী কেলেংকারী, মাদক সেবন, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে নাজেহাল সহ অস্ত্রবাজীর বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার নিজস্ব নারী নেটওয়ার্ক দিয়ে বিভিন্ন পদস্থ সামাজিক, রাজনীতিক ব্যক্তিদের ফাঁসিয়ে সুবিধা ভোগের অভিযোগ ছিল।জাকিররুল আলম জাকির যুবলীগ রাজনীতির নামা পরিচয় দিলেও, সে জামায়াত-বিএনপির নেটওয়ার্ক এর চর ছিল বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তার ৩ স্ত্রীর মধ্যে ২য় স্ত্রী সুন্দরী ফাহিমা কুমকুম জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। সেই স্ত্রীর সুবাধে সরকার বিরোধীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করতো জাকির। একই সাথে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচার করে সরকার বিরোধীদের সর্তক করতো জাকির। অপরদিকে, তার ঠিকাধারী ব্যবসার সহযোগী সাবেক এক শিবির নেতা। সেই শিবির নেতার হাত ধরে ঠিকাদারী ব্যবসায় জড়ায় জাকির। জামাত-বিএনপি নেটওর্য়াকের বিশ^স্ত সোর্স থাকায় কোনদিন রাজনীতিক মামলায় হয়রানী হতে হয়নি জাকিরকে। আওয়ামী রাজনীতিতে সুবিধা নিলেও তার কাজ ছিল দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ সহ, ব্ল্যাকমেইলিং। ২০১৭ সালে আ্ওয়ামীলীগের জেলা ও মহানগর শীর্ষ রাজনীতিকদের সামনে দক্ষিণ সুরমায় কুচাই এলাকায় এক ছাত্রলীগ নেতার শোক সভায় প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজী করে আলোচনায় এসেছিল জাকির। এঘটনায় এসএমপির মোগলাবাজার থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এসএমপির বিভিন্ন থানায়। ২০১৯ সালে ৪ নং কুচাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালামকে মোবাইলে ব্ল্যাক মেইলিং করে জাকির। একটি অডিও রেকর্ড করিয়া ফাঁসানো চেষ্টা করিয়া তাকে ঘায়েলের অপচেষ্টা করেছিল প্রশাসনের পরিচয় দিয়া জাকির। এরপর তার ধূর্ততা ধরা পড়ায় র্যাবের হাতে আটক হয়েছিল জাকির। সে কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারে এক মেয়ে বান্ধবীর সহায়তা মাদক সেবনের অভিযোগে ৭ দিন ভিজিটর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল জেল কর্তৃপক্ষ।