পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার সাঁথিয়ায় নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে সাব-মার্সেবল নলকুপ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে করমজা ইউনিয়ন আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ নান্নুর বিরুদ্ধে। প্রতিটি ইউনিয়নে ২৬টি করে বরাদ্দ থাকলেও তা গ্রাম ভিত্তিক বন্টনে বৈষম্যতা এনে একটি গ্রামেই বরাদ্দের প্রায় অর্ধেকটা বিতরণ করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার গ্রামীন জনগোষ্ঠির মাঝে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে উপজেলার (প্রতিটা ইউনিয়নে ২৬টি করে) ১০টি ইউনিয়নে ২৬০টি সাব-মার্সেবল গভীর নলকুপ বিতরণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে করমজা ইউনিয়নে ২৬টির মধ্যে তার ১১টা রয়েছে করমজা গ্রামে। এর মধ্যে আ”লীগের প্রভাবশালী নেতা করমজা ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ নান্নু নিজে সহ তার আত্মীয় স্বজনদের মাঝে ৬টি গভীর নলকুপ দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে ২৬টি গভীর নলকুপ (সাব-মার্সেবল) করমজা ইউনিয়নে ১৭টি গ্রামের মধ্যে বিতরণের কথা থাকলেও সেখানে এক গ্রামেই দেয়া হয়েছে বরাদ্দের প্রায় অর্ধেক। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জনগণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী নারগিছ পারভিনের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বিতরণ করার দায়িত্ব উপজেলা পরিষদ ও এমপি মহোদয় এর। আমরা শুধু বাস্তবায়ন করি।
এব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা চেয়াম্যান আব্দুল আল মাহমুদ দেলোযার জানান,আবু দাউদ নান্নুর বিরুদ্ধের এ অভিযোগের বিষয়ে আমিও শুনেছি। সে যদি এমন কাজ করে থাকে তাহলে নৈতিকতার দিক থেকে সে কাজটা ঠিক করে নাই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি সত্যতা পেলে আমরা ব্যাবস্থা নিব।
এছাড়াও সম্প্রতি সাঁথিয়ায় মুজিব শতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী উপহার গৃহহীনদের ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ায় আ’লীগ নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি/সম্পাদক স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন করমজা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ নান্নুকে।
এ দিকে গত (১৫ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সাঁথিয়া উপজেলা আ’লীগের দলীয় প্যাডে বিষয়টি নিয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয় ওই নেতার কাছে। তাতে বলা হয় মুজিব শতবর্ষে প্রধান মন্ত্রী উপহার গৃহহীনদের ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ ও আর টাকা না দিলে হুমকি ধামকির বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট দেন ভূক্তভোগী। এ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় তা প্রকাশিত হয়। এতে দলের আদর্শ ও সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে যা বাংলাদেশ আ’লীগের গঠনতন্ত্র ৪৭/৯ এর বিধি অনুযায়ী দলের স্বার্থ, আদর্শ, শৃংখলা তথা গঠণতন্ত্র ও ঘোষণা পত্র পরিপন্থি অপরাধ সংঘঠিত করিয়াছেন বলে প্রতিয়মান হয়েছে। এমতা অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে পত্র প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আপনার মতামত জানানোর জন্য বলা হল। অপরদিকে ভুক্তভোগী মমতাজ জানান ঘটনার পরের দিন আ”লীগ নেতা আবু দাউদ নান্নুর স্ত্রী মেরিনা আকতার মমতাজের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন এবং তার থেকে নেয়া ৫ হাজার টাকাফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে এবং বলেছেন আর কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না।