ইউরোপ ব্যুরো :
বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইতালির উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে “ মুজিব চিরন্তন” শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি শাহিন খলিল কাউসারের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক কমরেড খোন্দকারের পরিচালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শামিম আহসান।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আ’লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম এবং সাধারন সম্পাদক মজিবুর রহমান মুজিব।
আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত, মানবিক গুণাবলী, কূটনৈতিক সম্পর্ক, বলিষ্ঠ সাহসিকতা, পররাষ্ট্রনীতি এবং মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসার দিকগুলো তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শামিম আহসান
তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার তথ্য তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথি সর্ব ইউরোপিয়ান আ’লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম বলেন, একটি দেশ একটি জাতিকে আত্মপরিচয় দেয়, এটি কঠিন কাজ। বঙ্গবন্ধু সেটা করেছেন। আর এটা করতে গিয়ে তাকে অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পেছনে পাকিস্তানিদের কি অবদান ছিল জানি না। তবে পূর্ববঙ্গের মানুষের বড় অবদান ছিল। কিন্তু সেই পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ববঙ্গের মানুষের ওপরই নির্যাতন নেমে আসে। বঙ্গবন্ধু তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন। জাতির পিতা সবসময় মানুষের জন্য চিন্তা করতেন। পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার ৭/৮ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে তিনবার গ্রেফতার করা হয়। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে ৬ দফা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৬ দফার সমর্থনে যেখানেই বক্তব্য দিতে গেছেন সেখানেই তিনি গ্রেফতার হয়েছেন।’ ২৬ মার্চ ১৯৭১ এর প্রথম প্রহরে জাতির পিতা শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এরপর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ মহান শহীদ ও ২ লাখ মা বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান লাভ করে। বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। লাল সবুজের পতাকা ও সংবিধান।’
বঙ্গবন্ধু বিশ্বসভায় বাঙালিকে আত্মপরিচয় নিয়ে গর্বিত জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলার ক্ষেত্র রচনা করেছেন। স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার জন্য মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময়কালে বাংলাদেশের উন্নয়নের সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেন জাতির জনক।
সর্ব ইউরোপিয়ান আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে জাতির জনক সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্ত অন্যায়ের সঙ্গে কখনও আপস করেননি। ১৯৪৭-৪৮ থেকে ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৬৬ এর ৬ দফা, ১৯৬৮ এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন- দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৭১ এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।’
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন,ইতালি আ’লীগের সভাপতি ইদ্রিস ফরাজী,জার্মান আ’লীগের সভাপতি বশিরুল আলম চৌধুরী সাবু, অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, পর্তুগাল আ’লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম,সুইডেন আ’লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, অষ্ট্রিয়া আ’লীগের সভাপতি খোন্দকার হাফিজুর রহমান,নেদারল্যান্ড আ’লীগের সভাপতি শাহাদত হোসেন তপন,ইতালি আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হাসান ইকবাল,ফিনল্যান্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মাইনুল ইসলাম,পর্তুগাল আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শওকত ওসমান,দেশপ্রিয় নিউজের সম্পাদক সোহেল মজুমদার শিপন, অষ্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি নাহিদা সুলতানা,ডেনমার্ক আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান,গ্রিস আ’লীগের সাধারন সম্পাদক বাবুল হাওলাদার,নরওয়ে আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান,
বরুড়া উপজেলা ( কুমিল্লা) প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ মাসুদ মজুমদার,বাংলাদেশ সমিতি মিলানের সাবেক সভাপতি মজিবর রহমান হারিজ,লোম্বারদিয়া আ’লীগের প্রচার সম্পাদক মামুন হাওলাদার,বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইতালির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সোহেল মিয়াজী ,মো: আল আমিন হোসেন,ইমরান খান,কোষাদক্ষ নুরুল আলম জনি,সন্মানিত সদস্য এমকে রহমান লিটন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি আহম্মেদ আবদুল্লাহ আল আমিন।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভাটি সার্বিক ভাবে কারিগরি সহযোগিতা করেন,সুইডেন আ’লীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ ইউরোপ চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হেদায়েতুল ইসলাম শেলী।