ডেক্স নিউজ:
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালেন শহরে সেই বাংলাদেশি পরিবারের ৬ সদস্যের লাশ আগামীকাল বৃহস্পতিবার দাফন করা হতে পারে। এর আগে গত রোববার অ্যালেন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি পরিবারটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস ছয়জনের লাশ দাফনের ব্যবস্থা করছে।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- যমজ ভাই-বোন ফারহান তৌহিদ ও ফারবিন তৌহিদ, বড় ভাই তানভীর তৌহিদ, মা আইরিন ইসলাম, বাবা তৌহিদুল ইসলাম, তানভীর তৌহিদের নানি আলতাফুন্নেসা। বাবা-মা, বোন ও নানিকে হত্যার পর দুই ভাই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
ছয়জনের মধ্যে দুজনের মরদেহ স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে অ্যালেন নগরীর পুলিশ। বাকি চারজনের মরদেহ সব প্রক্রিয়া শেষ করে আজ বুধবার হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস এর প্রেসিডেন্ট হাশমত মোবীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিহত তৌহিদুল ইসলামের ভাই ও আইরিন ইসলামের ভাই টেক্সাসে এসেছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় জানাজা ও দাফনের সময়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী, অ্যালেন শহরের যে মসজিদে পরিবারটির সদস্যরা যেতেন, সেখানেই তাদের জানাজা হবে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর ছয়জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে পার্শ্ববর্তী ডেন্টন শহরের মুসলিম কবরস্থানে তাদের দাফন করা হবে।
হত্যাকাণ্ডের আগে ফারহান তৌহিদ ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ ‘সুইসাইড নোট’ পোস্ট করেন। তাতে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্যও উন্মোচন হয়।
ফারহান সেই সুইসাইড নোটের শিরোনাম দিয়েছে , ‘পরিবারের সবাইকে হত্যার পর আমি আত্মহত্যা করলাম।’
জানা গেছে নিহতদের সবার বাড়ি পাবনা জেলার দোহারপাড়ায়।এমন ঘটনায় গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনরা কিছুতেই এ অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।
নিহতদের স্বজনরা বাংলাদেশের সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে নিহতদের দাফন যেন দেশের মাটিতে করার ব্যবস্থা করা হয়।তবে এ প্রক্রিয়ার সেটি সম্ভব নাও হতে পারে।