আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী, বোয়ালমারী(ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী বাজারে অবস্থিত কাদিরদী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবার এখন বেহাল দশা। ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি ঘর জরাজীর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। একজন মেডিকেল অফিসারকে ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগ দেয়া হলেও তিনি ডেপুটেশনে থাকায় স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী বাজারে অবস্থিত কাদিরদী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার পদে ডা. মহসিন ফরাজীকে ২০২০ সালের ৬ জুলাই নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর ডা. মহসিন ফরাজী ডেপুটেশনে ফরিদপুরে যোগদান করেন। ফলে সপ্তাহে ৩ দিন শুধুমাত্র একজন মিডওয়াইফ (ধাত্রী) ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। সপ্তাহের অন্য ৩ দিন পার্শ্ববর্তী ঘোষপুর ইউনিয়নের খামারপাড়ায় অবস্থিত উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্তব্যরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নুরুল ইসলাম স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাদিরদী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পশ্চিম ও উত্তর পাশে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া সারা বছরই আশেপাশের বাড়ি এবং কাঁচা বাজারেরর পানি, ময়লা ওই স্থানসমূহে জমার ফলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এর ফলে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আগত রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সাথে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্তব্যরতদের দায়িত্ব পালন করাও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ফার্মাসিস্ট ও নাইট গার্ডও নেই।
এ ব্যাপারে ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কাদিরদী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন ১০০/১৫০ জন রোগী আসে চিকিৎসা সেবা নিতে। লোকবলের অভাবে হিমশিম খেতে হয়।’
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান বলেন, ‘ওই চিকিৎসকের (ডা. মহসিন ফরাজী) ডেপুটেশন বাতিল চেয়ে আবেদন করব। আমাদের আরেকজন চিকিৎসকও এই মুহূর্তে ডেপুটেশনে আছেন।’
ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ওই চিকিৎসকের ডেপুটেশন বাতিল চেয়ে আবেদন করতে বলেছি। আবেদন করলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’