কুবি প্রতিনিধিঃ
পূর্ব শত্রুতার জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সোহেল হাওলাদার(২৩) ও প্রীতম সেন (২২)নামে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (১ মার্চ) রাত ১০ টায় উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ঘটনার জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের একাদশ আবর্তনের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগকর্মী সোহেল হাওলাদারকে সালমান চৌধুরি, প্রীতম সেন, সিফাত, সোহাগ, আল-আমিন, অভিসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী হামলা করেন। এসময় সোহেলের সাথে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী সত্যজিৎ সাহা সেতু, ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ, সৌমিকসহ কয়েকজন প্রতিরোধ করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে প্রীতম সেন নাকে আঘাতপ্রাপ্ত হলেও সোহেল হাওলাদারের চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়।
পরবর্তী সময়ে সোহেল হাওলাদারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয় এবং প্রীতম সেনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত সোহেল হাওলাদার বলেন, পূর্ব ঘটনার জের ধরে দত্ত হলের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আমার উপর হামলা করে। হোটেল থেকে খাবার খেয়ে হলে ফিরার সময় তারা পেছন থেকে ১৫-২০ জন এসে আমাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। পূর্বে তাদের সাথে আমাদের ঝামেলা হয় তখন ইলিয়াস ভাই-মাজেদ ভাই মীমাংসা করে দেয়।
আরেক আহত প্রীতম সেন বলেন, আমি হলে যাচ্ছিলাম, এসময় দেখি কয়েকজন বাকবিতন্ডা করছে। কৌতূহলবসত আমি দেখতে গেলে ওয়াসিভাই ও তার বন্ধুরা আমি কিছু বুঝে না ওঠার আগে আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করে।
এ বিষয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, আমরা এটা নিয়ে আগামীকাল ইলিয়াস ভাই (শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি) আসলে সন্ধ্যায় বসবো। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। আগামীকালের (২ মার্চ) মধ্যেই আমরা এর সুরাহা করবো।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টরিয়াল বডি, যাদের সাথে ঝামেলা হয়েছে তাদের এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে বসে মীমাংসার চেষ্টা করবো। যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’