এম বশির, ব্যুরো প্রধান, বরিশালঃ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার আশ্বাসে সাতদিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি না মানলে সাতদিন পর আবারও আন্দোলনে নামবেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকাল ৩টার দিকে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে নগরীর রূপাতলী হাউজিং এলাকায় ছাত্রবাসে হামলার ঘটনায় রাত দেড়টা থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। বুধবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে থাকা একটি বাসে আগুন দেয়।
আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, বাস শ্রমিকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে রাত ১টার দিকে রূপাতলী হাউজিং এলাকায় ববি শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকটি ছাত্রবাসে হামলা চালানো হয়। এতে ১৬-২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের বেশ কয়েকজন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের স্টাফদের সঙ্গে ঝামেলা হলেও রাতের হামলায় রূপাতলী বাস স্ট্যান্ডের শ্রমিকসহ বিভিন্ন লোকজন অংশ নেয়। রূপাতলী বাস মালিক সমিতির এক নেতার ইন্ধনে ছাত্রাবাসে হামলা চালানো হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাত হালদার জানান, বিষয়টি সমাধানের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, পুলিশ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে পুলিশের ঊর্ধবতন কর্মকর্তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা সাতদিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিত করে সড়ক থেকে চলে গেছে। ফলে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।